সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ঘিবলি’ ঝড়, ‘অপমানজনক!’ ‘এআই’ রাজত্বে ‘বিরক্ত’ স্বয়ং সহ-প্রতিষ্ঠাতা হায়াও মিয়াজাকি
ট্রেন্ডিং: সিনেমার আইকনিক দৃশ্য থেকে শুরু করে, ব্যক্তিগত জীবনের ফ্রেমবন্দি কিছু মুহূর্ত, সবটা ঘিরেই যেন এক কার্টুনের জগৎ। সমাজমাধ্যম ছেয়ে গিয়েহছে জনপ্রিয় ‘ঘিবলি’ স্টাইলের শিল্পকলায়। তবে ঠিক ‘শিল্পকলা’ বলাও ভুল হবে এক্ষেত্রে। কারণ এই পুরোটাই সম্ভব হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাত ধরে। মাত্র এক ক্লিকেই জীবন্ত মানুষ বদলে যাচ্ছেন ‘কার্টুন’-এ। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, সকলেই এই ‘এআই’ জাদুতে মাতলেও এ নিয়ে রীতিমতো ‘বিরক্তি’ প্রকাশ করেছেন খোদ ‘ঘিবলি’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা হায়াও মিয়াজাকি।
আসলে কী এই ‘ঘিবলি’ স্টাইল? বিষয়টা খুবই সহজ। স্টুডিও ঘিবলি ইনকর্পোরেশন হলো জাপানের টোকিওতে অবস্থিত একটি অ্যানিমেনশন স্টুডিও। সময়ের হাত ধরে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে তাঁদের বানানো অ্যানিমেশনগুলি। এ বার চ্যাট জিপিটির একটি নতুন ফিচারের মাধ্যমে খুবই সহজে যে কোনও স্থিরচিত্রকেই বদলে ফেলা যাবে ঘিবলি ইমেজে। আর এই বিষয়টিকে ঘিরেই বিরোধিতা করেছেন জাপানের জনপ্রিয় কার্টুনশিল্পী মিয়াজাকি।
তিনি বলেন, “এই প্রযুক্তি হল জীবনের অপমান।” একটি সাক্ষাৎকারে বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি আরও যোগ করেন, “আমি আর দেখছি এই কার্টুনচিত্রগুলো। আমার একটুও ভাল লাগছে না। যাঁরা এই চিত্রগুলো বানাচ্ছেন, তাঁদের ধারণাই নেই একজন শিল্পীর কষ্ট সম্পর্কে। আমি খুবই বিরক্ত।” তিনি আরও বলেন, “যদি কেউ এই ধরনের জিনিস বানাতে চান, আমি বাধা দেব না। কিন্তু আমি কখনই আমার কাজে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করব না।”