উত্তপ্ত ঠাকুরপুকুর, ধাক্কা দেওয়া গাড়িতে উপস্থিত ছিলেন ঋ’ও, কীভাবে ঘটেছিল দুর্ঘটনা? সরব নায়িকা
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: ঠাকুরপুকুরে গাড়ি দুর্ঘটনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল সমাজমাধ্যম। এর আঁচ ছড়িয়েছে টলিপাড়ার অন্দরেও। কারণ, এই ঘটনায় মূলে রয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির অন্দরেরই মানুষ। ঠাকুরপুকুর বাজার এলাকায় একটি বিএমডাব্লিউ গাড়ি এসে কয়েকজন পথচারীকে আচমকা ধাক্কা দেয়। গুরুতর জখম হন ছয় জন। তাঁদের মধ্যে চার জনকে ভর্তি করানো হয় স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে। বাকি দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বিকেল গড়াতেই জানা যায়, আশঙ্কাজনক দু’জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুঞ্জন, ওই গাড়িটি নাকি চালাচ্ছিলেন পরিচালক ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্ত দাস। গাড়িতে ছিলেন ঋতুপর্ণা সেন (ঋ) এবং সান বাংলা চ্যানেলের কার্যনির্বাহী প্রযোজক শ্রিয়া বসু। তারপর থেকেই তোলপাড় নেটমাধ্যম। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ছয় জনকে পিষে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছোট পর্দার পরিচালক ভিক্টোর বিরুদ্ধে।
কীভাবে ঘটেছিল সেই ঘটনা? ওই মুহূর্তে গাড়িতে থাকা ঋতুপর্ণা সেন ওরফে অভিনেত্রী ঋ-য়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আডিশন। নায়িকার সহজ স্বীকারোক্তি, “হ্যাঁ, আমি গাড়িতে ছিলাম যখন অ্যাক্সিডেন্টটা হয়েছে। সকালবেলা জোকা থেকে ফিরছিলাম। আরিয়ানের বাড়িতে একটা পার্টি ছিল, সেখান থেকেই গাড়ি করে আসছিলাম আমরা। তখনই ঠাকুরপুকুরের কাছে দুর্ঘটনাটা ঘটে। আমার গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই প্রচুর লোকজন ভিড় করে সেখানে। যেহেতু আমি গাড়িটা চালাচ্ছিলাম না, তাই আমাকে তড়িঘড়ি সেই ভিড় থেকে সুস্থভাবে বের করে দেওয়া হয়। তার পরে কী হয়েছে, আমি জানি না।”

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই জানা যায়, সেই সময়ে মদ্যপান করে ছিলেন পরিচালক ভিক্টো এবং শ্রিয়া বসু। অভিনেত্রী ঋ-ও কি তাই? তিনি বলেন, “আমি নেশাও করিনি এবং নেশা করিও না। ঘটনাটা ঘটার পর আমি বারবার করে বলছিলাম, আমি কিছু করিনি। মানুষ সেটা বুঝতেও পেরেছিলেন, সেই কারণেই আমাকে ওখান থেকে বের করে আনা হয়। দুর্ঘটনা ঘটার আগে আমাকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম শ্রিয়া বসুর গাড়িতে উঠব। কিন্তু ওঁর গাড়ি ওখানে ছিল না বলে পরিচালক বলেছিলেন আমাকে বাড়ি ছেড়ে দেবেন। ভেবেছিলাম গাড়িচালক আছেন। আমি জানতামই না তিনি নিজে গাড়ি চালাবেন।”