ক্যাট-ঐশ্বর্যার সঙ্গে বিয়ে না হওয়ায় দুষলেন নিজেকে, তবু ৬০-এও বেঁচে বাবা হওয়ার স্বপ্ন

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: সলমন খান মানেই বলিউডের ‘ভাইজান’, যিনি বছর ৬০-এর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও ব্যাচেলর। জীবনে ক্যাটরিনা কাইফ বা ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেও আজও তিনি ‘চিরকুমার’, এমনটাই দাবি অভিনেতা সলমন খানের। কিন্তু প্রেমের পিঁড়িতে না বসলেও তাঁর মন ভরে আছে এক গভীর বাসনাতে— বাবা হতে চান তিনি। আর মাত্র কয়েকমাস পরেই তিনি পা দেবেন ষাটের কোঠায়, এমন ইচ্ছে শুনেই রসিকতার সুর চড়ালেন টুইঙ্কল খান্না। 

কাজল আর টুইঙ্কল খান্নার চ্যাট শো ‘টু মাচ’-এ অতিথি হয়ে এসেছিলেন সলমন খান এবং আমির খান। সেখানেই সলমন অকপটে জানান, একদিন তিনি বাবা হবেন, খুব শীঘ্র হবে সেটা। আসলে, ছোটদের প্রতি সলমনের স্নেহ কারও অজানা নয়। বোনের মেয়ে আয়াৎ হোক বা ভাইদের ছেলেরা— সকলকে তিনি আগলে রাখেন। কিন্তু এমন ইচ্ছে শুনেই রসিকতার সুর চড়ালেন টুইঙ্কল। তিনি মজার ছলে প্রশ্ন করেন, ‘‘তুমি হয়তো জানোও না, তোমার নিশ্চয়ই এক ডজন সন্তান আছে!’’ পাল্টা জবাবে সলমনও কম যান না, বলেন, ‘‘থাকলে তোমরাই জানতে পারতে।” 

অবশ্য, সলমনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তাও কম নেই। দু’বছর ধরে গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের থেকে খুনের হুমকি পাচ্ছেন তিনি। অভিনেতার বাড়িতে গুলি চলার পর তাঁর নিরাপত্তা দ্বিগুণ করা হয়েছে। এই মৃত্যুভয় তাঁকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে বলেই হয়তো কোনও নারীর সঙ্গে নিজেকে জড়াতে চান না। তবে বাবা হওয়ার বাসনা তাঁর রয়েই গেছে।

সলমন নিশ্চিত করে দেন, তিনি দত্তক নিতে চান না, নিজের সন্তানই চান। এই প্রসঙ্গে টুইঙ্কল জানতে চান, এই বয়সে সন্তান হলে তার দেখভাল করবে কে? এমন প্রশ্নে সলমন হাসিমুখে তাঁর বড় পরিবারের দিকে ইঙ্গিত করেন। তিনি জানান, তাঁর পরিবারে একটা গোটা ‘জ়িল্লা’ (জেলা) রয়েছে সন্তানকে মানুষ করার জন্য। পরিবারের মহিলারা আছেন, ভাই-বোনের ছেলেমেয়েরা আছে। সলমনের বিশ্বাস, তাঁর সন্তানের দেখভালের জন্য গোটা পরিবার মিলেমিশে দায়িত্ব নেবে। এমনকি, বাবা-মায়ের পক্ষ থেকেও বিয়ে বা সন্তান নেওয়ার জন্য কখনও চাপ দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।

অতীত নিয়ে আমির প্রশ্ন করতেই সলমনের সোজা জবাব—সব সম্পর্ক ভাঙার দায় তাঁরই। “যদি না জমে, তো না জমেই। দোষ কারও হলে, সেটা আমার,” অকপট সলমন। সম্পর্কের অঙ্ক নিয়ে নিজের মতও জানালেন—“দু’জনকে একসঙ্গে বড় হতে হয়। না হলে ফারাক তৈরি হয়, সেখান থেকেই আসে অনিশ্চয়তা।” একইসঙ্গে জানালেন, বিয়ের জন্য পরিবার থেকে কোনও চাপ আসেনি কখনও। বাবারও, মায়েরও কোনও দাবি ছিল না।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *