‘এ ভাবেই নতুন মেয়ের কেরিয়ারকে আটকে দেওয়া হয়’, কোন পরিস্থিতির শিকার হন শতাব্দী?
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: বিনোদন দুনিয়ার চাকচিক্যের আড়ালে যে অন্ধকারময় রাজনীতির খেলা চলে, তা একবাক্যে স্বীকার করেছেন বহু তারকাই। অনেক উঠতি অভিনেতা-অভিনেত্রীকেও বহু জটিল পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে। এমনকি বাদ যাননি অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ও। অভিনেত্রীর কথায়, এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে এগিয়ে আসাটাও এক প্রকার ‘স্ট্রাগল’।
তখন সাল ১৯৮৭। বিনোদন থেকে রাজনীতির মঞ্চ, দাপিয়ে কাজ করে যাওয়া এই শতাব্দী রায় তখন সবে পা দিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। নিজেকে প্রমাণ করতে কম স্ট্রাগল করতে হয়নি তাঁকে। এমনই এক ঘটনার কথা ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী নিজেই।
এইটি ভিডিয়ো তিনি বলেন, “আমি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। ‘প্রতিভা’ বলে একটি ছবি করছি। আমার সহ-অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়, অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে তরুণ মজুমদার ‘পথভোলা’ করবেন। আমায় তার জন্য ডেকেছেন।” তরুণ মজুমদারের ছবি বলে কথা, হাতছাড়া করা যায়! ছবির প্রস্তাব পেয়ে অভিনেত্রী বেজায় খুশি। ‘প্রতিভা’ ছবির পরিচালকের কাছে অনুরোধ জানালেন, যদি তারিখ ‘অ্যাডজাস্ট’ করা যায় তা হলে দুটো ছবিই তিনি একসঙ্গে করতে পারেন। কিন্তু বৃথা সেই অনুরোধ। পরিচালক অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, “আমাদের আউটডোর আছে শিলঙে। আমরা ছাড়়তে পারব না। তুমি তনুদার ছবি ছেড়ে দাও!”
নবাগত অভিনেত্রী তখন শতাব্দী। বাধ্য হয়ে শুনেছিলেন পরিচালকের কথা এবং ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তরুণ মজুমদারকে। স্বাভাবিকভাবেই অভিনেত্রীর মনে এই চিন্তাও দানা বেঁধেছিল যে এমন কিংবদন্তি পরিচালকের প্রথম প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া কি ঠিক হল? আর কী ছবির জন্য ডাকবেন ভবিষ্যতে?
এ বার অভিনেত্রীর বিস্মিত হওয়ার পালা। নির্দিষ্ট তারিখে সত্যিই ‘প্রতিভা’ ছবির দল শিলঙে শুটিং করতে গেল। শতাব্দীকে ছাড়াই! তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “আমি আউটডোর শুটিংয়ে যাব না?” সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জানানো হয়, তাঁর কলকাতায় শুটিং হয়ে গিয়েছে। শিলঙে তাঁর শুটিং নেই! কিছুটা আক্ষেপ মেশানো সুরেই শতাব্দী বলেন, “সে দিন বাড়িতে বসেই দিন কেটেছিল! ‘প্রতিভা’ ছবির শুটিংয়ে থাকলাম না, তনুদার ছবিও করতে পারলাম না।”
নায়িকার মতে এটাও এক প্রকার ‘স্ট্রাগল’। যেখানে একজন নতুন অভিনেত্রীর কর্মজীবনকে এই ভাবে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
