‘ঋতুপর্ণা ইন্ডাস্ট্রির পিলার, বিনয়ী বলেই এতটা সফল’, বললেন শ্রীময়ী
এন্টারটেনমেন্ট ডেস্ক: ‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত’ ছবির প্রিমিয়ারে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে এ ভাবেই প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। প্রিমিয়ারে দেখা হতেই প্রথমে সৌজন্য বিনিময়। তারপর সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী বললেন, ‘‘ঋতুপর্ণা ইন্ডাস্ট্রি একজন স্তম্ভ। ওঁর এই বিনয়ী স্বভাবই ওঁকে এত বড় সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে।” অনেকেই হয়তো শ্রীময়ীর এই মন্তব্যে মাথা নেড়েছেন চুপিচুপি। কারণ এতটা সময় ধরে যিনি ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে আছেন, যাঁর নামেই সিনেমা দেখতে আসেন দর্শক, তাঁকে এই স্বীকৃতি দেওয়া যথার্থ বলেই মনে করেছেন অনুরাগীরা।
নব্বইয়ের দশকে প্রভাত রায়ের ‘শ্বেত পাথরের থালা’ দিয়ে শুরু হয়েছিল ঋতুপর্ণার পথচলা। খুব দ্রুতই তিনি বাণিজ্যিক এবং শৈল্পিক, দুই ধারার সিনেমায় নিজের জায়গা তৈরি করে ফেলেন। ‘দহন’, ‘উৎসব’, ‘পারমিতার একদিন’, ‘রাজকাহিনী’—প্রতিটি ছবিতেই তাঁর অভিনয় নতুন করে চেনায় একজন অভিনেত্রীকে। আর জাতীয় পুরস্কার তো তারই এক স্বীকৃতি।
এক সময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শককে। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার জুটি অন্যতম চৰ্চিত জুটিগুলির মধ্যে একটি হলেও একটা সময়ের পর তা ভেঙে যায়। দু’জনের মধ্যে বেড়েছিল দূরত্ব। বলা যায়, জুটি ভাঙলেও নায়িকা হিসেবে একাই নিজের মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন অভিনেত্রী। যদিও তারপর বিবাদ ভুলে ২০১৬ সালে প্রসেনজিতের সঙ্গেই আবার জুটিতে ধরা দেন শিবু-নন্দিতার (শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়) ছবি ‘প্রাক্তন’-এ।
কর্মজীবনে একাধিকবার বিরতি এসেছে—বিয়ে, মাতৃত্ব, পরিবার। কিন্তু প্রত্যাবর্তনের প্রতিবারেই নিজেকে নতুন করে তুলে ধরেছেন তিনি।
সায়ন্তন ঘোষালের পরিচালনায় এই ছবি ‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত’তে আবারও নতুন অবতারে দেখতে পাওয়া যাবে ঋতুপর্ণাকে।