নামী হোটেলে কর্তারা, অ্যাথলিটরা মশার কামড় খাচ্ছেন স্কুল ঘরে ! জঘন্য খাবার, শৌচালয়ে নেই জল! ক্ষুব্ধ অ্যাথলিট
স্পোর্টস ডেস্ক: চাঁদের একপিঠে ঠিক যতটা আলো, উল্টোপিঠে ঠিক ততটাই অন্ধকার। মালদহের বুকে আয়োজিত রাজ্য গেমসের অবস্থাও বোধহয় তাই। প্রথমদিন থেকেই নানা অব্যবস্থার দিস্তা দিস্তা অভিযোগ। তবে ‘চোখে আঙুল দাদা’ যেন পরিষ্কার করে দিচ্ছে কর্তা ও খেলোয়াড়দের স্বাচ্ছন্দ্য। কলকাতা থেকে মালদহে কর্তারা গিয়ে ঠাঁই পেয়েছেন সেখানকার পরিচ্ছন্ন হোটেলে। আর সাধারণ অ্যাথলিটদের জায়গা হয়েছে একটি সাধারণ স্কুলে। তাও সেখানে জলের অভাব রয়েছে। খাবার ও তার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মুখে তোলার অযোগ্য সেই খাবার ভালমতো সিদ্ধ পর্যন্ত হয়নি! শুধু কী তাই! ভাবা যায়, স্নান ও শৌচকর্ম সারারও জলটুকুও নেই।
অ্যাথলিটদের অভিযোগ, তাঁদের জল কিনে খেতে হচ্ছে। তারপর যে বার্লো স্কুলে রাখা হয়েছে, সেই স্কুলে মশার উপদ্রবে টেকা দায়। বিকেল থেকে মশা এসে ঢুকছে স্কুল ঘরগুলিতে। মশা মারার কয়েল জ্বেলেও কোনও কাজ হচ্ছে না। বাইরে থেকে আসা অ্যাথলিটরা বাসে ঘুমিয়েছেন। সকাল পাঁচটা পর্যন্ত বাসে কোনওক্রমে রাত কাটিয়ে সকালেই ইভেন্টে নামতে হয়েছে। এই অমানবিকতার ছবি সর্বত্রই। হকি যে মাঠে হচ্ছে সেই মাঠে রাজনীতির সভা আর লোকাল ফুটবল হয় । ফলে খেলোয়াড়দের চোট লাগতে বাধ্য। রাজ্য হকি সংস্থার সচিব মালদায় গিয়ে সবকিছু দেখে ক্ষুব্ধ। শুধু হকি কেন, খেলা চলাকালীন অসুস্থ খেলোয়াড়দের মাঠ থেকে আনার জন্য স্ট্রেচারের ব্যবস্থাও ছিল না। মেডিক্যালে পেইন কিলার স্প্রে, জেল কিংবা ওআরএস-ও না থাকার অভিযোগ উঠেছে৷বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশনের সচিব মহম্মদ খালিদ হোসেন জানান, ‘এত বড় খেলার আয়োজনে প্রতি মুহূর্তে পরিকাঠামোর অভাব টের পাওয়া যাচ্ছে।

খেলোয়াড়দের যেখানে রাখা হয়েছে সেখানে নানা সমস্যা। রাত থেকে অনেক অভিযোগ এসেছে, আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও ফল মেলেনি। মাঠে খেলোয়াড়দের রোদের মধ্যে বসে থাকতে হচ্ছে। খেলতে গিয়ে একটি মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ওই খেলোয়াড়কে তুলে আনার জন্য কোনও স্ট্রেচারের ব্যবস্থা নেই। মাঠে চেঞ্জিং রুম নেই। বায়ো টয়লেট করার কথা থাকলেও তা হয়নি। অনেক বলার পর গ্যালারির পেছনে একটা গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।’ ইংরেজবাজারের নরহাট্টা গোপেশ্বর সাটিয়ার হাইস্কুলে কবাডি প্রতিযোগিতা চলছে ৷কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য গেমস সফল করার নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিওএ কর্তারা। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে ঠিক উল্টো।