গোয়ায় কলকাতা ডার্বি ড্র! সুপার কাপের সেমিতে ইস্টবেঙ্গল, বিদায় বাগানের
গোয়ায় চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে ডেম্পো ড্র করায় ডার্বি খেলতে নামার আগেই অঙ্কটা সহজ করে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের জন্য। ড্র করলেই সেমিফাইনাল। তাই হল। গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ মোহনবাগান। নব্বই মিনিট পর্যন্ত টানটান লড়াই চলল। গোয়ায় কলকাতা ডার্বি গোলশূন্য ড্র করে সুপার কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল লাল হলুদ ব্রিগেড। বিদায় নিল মোহনবাগান।কারণ সবুজ মেরুনকে জিততেই হত। কিন্তু সবুজ মেরুন ফুটবলারদের মধ্যে তাগিদেরই যেন বড় অভাব।খেলা দেখে অবশ্য একবারও মনে হয়নি, তারা জেতার জন্য খেলতে নেমেছে। হোসে মোলিনার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।
জেমি ম্যাকলারেন একাই সামনে ছিলেন, কিন্তু তাঁকে নিখুঁতভাবে আটকে রাখে লাল-হলুদ রক্ষণভাগ। কোচ হোসে মোলিনা শুরু থেকে কেবল এক স্ট্রাইকারে কেন খেললেন, তা বোঝা দুষ্কর। অস্কার ব্রুজো যখন শেষ চারের টিকিট পেতে পাঁচ বিদেশি সমৃদ্ধ একাদশ নামালেন তখন ম্যাকলারেনকে সামনে রেখে অলড্রেট এবং আলবার্তোকে নিয়ে তিন বিদেশিতে প্রথম একাদশ সাজান হোসে মোলিনার। বৃষ্টি ভেজা মাঠ সবসময়ই খেলার পক্ষে কঠিন। টানা বৃষ্টির ফলে মাঠ আরও অনুপযোগী হয়ে ওঠে। তবে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে নামে ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধ জুড়ে মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণে রাখে রশিদ ও মিগুয়েল ফিগুয়েরা। বিশেষ করে মিগুয়েলের নিখুঁত পাসিং ও ক্রস মোহনবাগানের রক্ষণে বারবার চাপ সৃষ্টি করছিল।
২৪ মিনিটে তাঁর ক্রসে বিপিন সিংয়ের হেড বারে লেগে ফিরে আসে।এরপর নাওরেম মহেশের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ছন্দ ফেরানোর চেষ্টা করেন মোলিনা। একে একে মাঠে নামেন কামিংস, পেত্রাতোস ও রবসন। তবুও গোলের মুখ খুলতে পারেননি তাঁরা। সবচেয়ে বড় সুযোগটি আসে কামিন্সের পায়ে, কিন্তু তাঁর শট ব্লক হয়ে যায়, ফিরতি বলে রবসনের শটও বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। তাতেই বোঝা যায়, মোহনবাগানের ভাগ্য সহায় নয়। ম্যাচ শেষে দুই প্রধানের ফুটবলাররা ঝামেলাতেও জড়ান। হাতাহাতিও হয়। কিন্তু তাতে ক্ষোভ উগড়ে দিলেও সবুজ মেরুনের কোনও লাভই হল না।
