আর দেখতে পাবেন না আতিফ, ফওয়াদকেও! পহেলগাঁও কাণ্ডের কোপ দুই পাক তারকার উপরেও
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তার রেশ কিন্তু এখনও স্থায়ী। উত্তপ্ত ভারত। তার আঁচ ছড়িয়েছে বিনোদন জগতেও। পাকিস্তানি অভিনেতা ফওয়াদ খানের ছবি মুক্তি স্থগিত হওয়া থেকে শুরু করে পাক শিল্পীদের জন্য এই দেশের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়া, কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই নিয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। বন্ধ হয়েছে পাক তারকাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও। এর আগে হানিয়া আমির থেকে শুরু করে মাহিরা খান, আলি জফরে অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হয়েছিল ভারতে। এ বার তালিকায় যুক্ত হল আরও নাম। সঙ্গীতশিল্পী আতিফ আসলাম, ফওয়াদ খান-সহ অন্যান্যরা।
এই দুই তারকারও ভারতে রয়েছেন অসংখ্য অনুরাগী। তবুও এই দেশে বাতিল করে দেওয়া হল তাঁদের সমাজমাধ্যমের পাতা। কিছু দিন আগে থেকেই একাধিক পাকিস্তানি শিল্পীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট দেখা যাচ্ছে না ভারতে। তালিকায় রয়েছেন বহুল পরিচিত মুখেরা। হানিয়া আমির থেকে শুরু করে মাহিরা খান, আলি জফর, বিলাল আব্বাস, ইমরান আব্বাস-সহ একাধিক তারকা। তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খুললেই ভেসে উঠছে একটি বার্তা, ‘ভারতে এই অ্যাকাউন্টটি উপলব্ধ নয়। এর কারণ হল আমরা এই কন্টেন্ট সীমাবদ্ধ করার আইনি অনুরোধ মেনে চলেছি।’ ভারত থেকে কি তবে চিরতরে নিষিদ্ধ হয়ে গেলেন পাক শিল্পীরা?
২০১৬ সালের ঘটনা। উরি হামলায় যেন নড়ে বসেছিল গোটা দেশ। সেই সময়ে ভারতে কাজ করার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানি শিল্পীদের। নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল তাঁদের উপর। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পহেলগাঁও ঘটনার পর ফের প্রায় সেই ঘটনারই যেন পুনরাবৃত্তি। এর আগে পাক শিল্পীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ (এফডব্লিউআইসিই)।
এ বার আরও কঠোর এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অশোক দুবে। স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দেশের কেউ ফের কোনও পাক শিল্পীর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়লে, তাঁকেও ইন্ডাস্ট্রিতে নিষিদ্ধ করা হবে। অশোকের কথায়, “আমাদের দেশের কেউ পাকিস্তানি শিল্পীর সঙ্গে কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করা হবে, যাতে আর কেউ এই কাজ করার আগে হাজার বার ভাবেন।” ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত চিঠি গিয়ে পৌঁছেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে। সেই চিঠিতে পাকিস্তানি শিল্পীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি করা হয়েছে।