হাই মাদ্রাসার ফলে মালদহ জেলার দাপট, ছাত্রদের টেক্কা দিল ছাত্রীরাই

রাজ্যে এ’বছরের হাই মাদ্রাসা পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্রদের টেক্কা দিল ছাত্রীরাই। সার্বিকভাবে মেধাতালিকায় মালদহের পড়ুয়াদের দাপট দেখা গেছে। প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় – সবাই মালদার ছাত্রী। অন্যদিকে আলিম এবং ফাজিলের পরীক্ষার প্রথম তিনে আবার ছেলেদের দাপট দেখা গিয়েছে। হাই মাদ্রাসায় মেধা তালিকায় প্রথম দশে ১৫ জন, আলিমে ১০ জন, ফাজিলে ১২জন রয়েছেন। হাই মাদ্রাসায় পাশের হার ৯০.৩২ শতাংশ। আলিমে পাশের হার ৯২.৮১ শতাংশ এবং ফাজিলে পাশের হার ৯৩.১৫ শতাংশ। হাই মাদ্রাসায় মেধা তালিকায় প্রথম দশে থাকা ১৫ জনের মধ্যে ১২ জন ছাত্রী। প্রথম পাঁচটি স্থানই মেয়েদের দখলে। ৩৭ জনের তালিকায় ছাত্রী রয়েছে ১৬ জন এবং ছাত্রের সংখ্যা ২১জন। মোট পরীক্ষার্থী হাই মাদ্রাসায় ৪৪ হাজার ৭৩ জন। পাশ করেছে ৩৯ হাজার ৮০৬ জন। রাজ্যে যুগ্ম প্রথম মালদহের ভগবানপুর হাই মাদ্রাসার ফাহমিদা ইয়াসমিন এবং বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার সাহিদা পারভিন। ৮০০-র মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর ৭৮০। দ্বিতীয় স্থানে ইসলাম সাগর হাই মাদ্রাসার সামশুন নেহার (৭৭৬/৮০০)। তৃতীয় স্থানে মহম্মদিয়া হাই মাদ্রাসার আলিফনুর খাতুন (৭৭২)। জেলাভিত্তিক পাশের হারের নিরিখে শীর্ষে আছে পূর্ব মেদিনীপুর (৯৭.৫৪ শতাংশ)। তারপর আছে যথাক্রমে আলিপুরদুয়ার এবং উত্তর ২৪ পরগনা। এবার মাধ্যমিকেও পাশের হারের নিরিখে শীর্ষে আছে পূর্ব মেদিনীপুর। আলিমে প্রথম হয়েছেন মহম্মদ সৈয়দ আলম মণ্ডল। ফাজিলে প্রথম হয়েছেন ইয়ামিন শেখ। উল্লেখ্য, তিনটি বিভাগ মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৬০ হাজার ৩৭৪ জন। হাই মাদ্রাসা আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজ মাধ্যমে নিজের এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘হাই মাদ্রাসা, আলিম এবং ফাজিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আমি আশা করি তোমরা ভবিষ্যতে আরও সাফল্য পাবে।’ আরও লিখেছেন, ‘তোমাদের জীবনের এই বিশেষ দিনটিতে আমি তোমাদের বাবা-মা, তোমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক – সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাঁদের সহায়তাই তোমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি।’