অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্যলগ্নে উদ্বোধন, সুক্কা ও পাক্কা, ২ ধরনের ভোগ অর্পণ হবে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে
ট্রেন্ডিং: বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ার শুভক্ষণে সৈকতনগরী দিঘায় প্রভু জগন্নাথদেবের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। জগন্নাথ মন্দিরের শুভ সূচনা করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘায় সাজো সাজো রব সেই উপলক্ষ্যে। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের বেশ কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। আসুন একঝলকে জেনে নিই সেইগুলো-
কলিঙ্গ শৈলিতে তৈরি জগন্নাথদেবের মন্দিরটি পুরীর মন্দিরের আদলে তৈরি।নির্মাণ কাজে রাজস্থানের অন্তত ৮০০ দক্ষ কারিগর ছিলেন। মন্দিরের তিনটি দ্বীপ স্তম্ভ রয়েছে। ভোগ মণ্ডপের জন্য রয়েছে চারটি দরজা। প্রবেশদ্বারও চারটি। সিংহদ্বারেই দেখা যাবে জগন্নাথের বিগ্রহ। যে দ্বারে কালো রঙের ৩৪ ফুট লম্বা ১৮ মুখী অরুণ স্তম্ভ রয়েছে। উত্তরে হস্তি দ্বার ও দক্ষিণে অশ্ব দ্বার। রাজস্থানের গোলাপি বেলেপাথর দিয়েই তৈরি হয়েছে এই মন্দির। আর পুরীর খাজা যেমন বিখ্যাত, তেমনই দিঘায় পাওয়া যাবে প্যাড়া আর গজা। জগন্নাথ দেবের সেবায় ৫৬ ভোগের আয়োজনের ব্যবস্থা থাকবে।
সুক্কা ও পাক্কা এই দুই ধরণের ভোগ অর্পণ করা হবে। নাটমন্দিরের দেওয়ালে কালো পাথরের তৈরি দশ অবতারের মূর্তি খোদাই থাকছে। মন্দিরের গায়েও রয়েছে অসংখ্য কারুকাজ। ভোগ মণ্ডপ ও নাট মন্দিরের মাঝে থাকছে গরুড় স্তম্ভ। জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার মূর্তি হয়েছে নিম কাঠের তৈরি। ১৬টি স্তম্ভের ওপর তৈরি হয়েছে নাটমন্দির। নাট মন্দিরের পরে ৪ স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে জগমোহন। তারপর মূল গর্ভগৃহ। পুরীধামের মতো এখানেও অধিষ্ঠিত হবেন সুদর্শন দেব, দেবী লক্ষ্মী, বিমলা ও সত্যভামা।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৩০ এপ্রিল দুপুর আড়াইটে থেকে তিনটের মধ্যে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন হবে। গত শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে আচার অনুষ্ঠান। অস্থায়ী আটচালা ঘরে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা এবং সুদর্শন দেবতাকে ১২ লিটার দুধ দিয়ে স্নান করানো হয়েছে। মন্দিরের বিমলা, লক্ষ্মী, সত্যভামা সহ অন্যান্য দেবতাদেরও একইভাবে স্নান সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পবিত্র হোমযজ্ঞ। পুরীর মন্দিরের রাজেশ দৈতাপতির নেতৃত্বে চারদিকে চারটি হোমকুণ্ড এবং মাঝখানে মহাকুণ্ডে জ্বলছে হোমাগ্নি। মনে করা হচ্ছে, এই মন্দিরের উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলার পর্যটন মানচিত্রে যুক্ত হতে চলেছে এক নতুন গন্তব্য।