দিদি, ইয়ে আপকে লিয়ে…! হরমনদের উপহারে ট্রফি হাতে আবেগে চোখে জল ঝুলনের

বিশ্বকাপ জয়। স্বপ্নপূরণের কারিগড় হরমনপ্রীত-স্মৃতি-শেফালি-দীপ্তি থেকে বাংলার রিচা ঘোষ।তবে স্বপ্নের বুননটা করেছিলেন আরও এক বাঙালি ঝুলন গোস্বামী। তাই তো বিশ্বকাপ জয়ের সেলিব্রেশনের মাঝেই চাকদহ এক্সপ্রেসের হাতে ট্রফি তুলে দিয়ে হরমনপ্রীত-স্মৃতিরা বলে উঠলেন, দিদি ইয়ে আপকে লিয়ে থা। বিশ্বমঞ্চে আবেগে চোখের জলে ভাসছেন বাংলার প্রাক্তন পেসার। জড়িয়ে ধরছেন কখনও হরমনপ্রীতকে, কখনও স্মৃতিকে। কত স্মৃতি-কত লড়াই। তবু বিশ্বকাপটা এর আগে হাতে ধরা হয়নি কখনও। এর আগে দু’দুবার ফাইনালে উঠেও পরাজিত হওয়ার আক্ষেপটা যেন ঝুলনকে মিটিয়ে দিলেন বোনেরা। আনন্দ উদযাপনে শামিল হয়েছিলেন আরও দুই কিংবদন্তি। একজন, মিতালি রাজ অন্যজন অঞ্জুম চোপড়া। একইভাবে চোখের জলেই আবেগে ভেসেছেন বাকি দু’জনও।
ঝুলন গোস্বামী বলেন, ‘২০২২ সালের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর হরমনপ্রীত কৌর ও স্মৃতি মান্ধানা আমার ঘরে এসেছিল। ওরা বলেছিল, ২০২৫ সালে তুমি আর খেলবে কি না জানি না কিন্তু একটা কথা বলতে চাই, সে বার আমরা তোমার জন্য বিশ্বকাপ জিতবই। দু’সপ্তাহ আগেই ওদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ওরা বলেছে, তোমার জন্য আমরা এই বিশ্বকাপ জিততে চাই। আর ওরা সেটা করে দেখিয়েছে। সেই কারণে নিজের আবেগকে আর ধরে রাখতে পারিনি’। মিতালি রাজ আবার সমাজ মাধ্যমে লেখেন, ‘ভারতীয় মেয়েদের বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে দেখার স্বপ্ন আমি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে দেখেছি। আজ (রবিবার, ২ নভেম্বর) রাতে, সেই স্বপ্ন সত্যি হলো’।
বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর বলেন, ‘ঝুলন দি আমার সবচেয়ে বড় সমর্থক। যখন দলে যোগ দিই, উনি তখন অধিনায়ক। প্রথম দিকে অঞ্জুম দিও অনেক সাহায্য করেছিলেন। তাঁদের থেকে যা শিখেছি, সেটাই নিজের টিমের ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়েছি। আজ তাঁদের সঙ্গে এই মুহূর্ত ভাগ করে নিতে পেরে কৃতজ্ঞ। আমরা সবাই অনেক দিন ধরে এই ট্রফিকে ছোঁয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে সেটা সম্ভব হল।’ সত্যিই তো, হরমনদের লড়াই পেল পূর্ণতা, আর একবারের জন্য হলেও মুছে গেল লর্ডসের সেই দুঃসহ স্মৃতি।
