ঘরের মাঠে পুরান-মার্শদের কাছাকাছি গিয়েও হেরেই গেলেন রাহানে-রিঙ্কুরা

0

স্পোর্টস ডেস্ক: ফুটবলে ও ক্রিকেটে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দল জিতল। তাতে একবার কলকাতা আনন্দে ভাসল। একবার কলকাতা হতাশায় ডুবল। মোহনবাগানকে জেতাতে যুবভারতীতে ছুটে গিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। আর কলকাতাকে হারাতে ইডেনে খেলা দেখতে এসেছিলেন ম্যাকলারেন, পেত্রাতোসরা। দেখলেন লখনউয়ের জয়।মিচেল মার্শ ও নিকোলাস পুরানের বিধ্বংসী ইনিংসের সুবাদে ৩ উইকেটে ২৩৮ রান তুলেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। পাহাড় রান টপকাতে নেমে ৭ উইকেটে হারিয়ে ২৩৪ রান তুলতে পেরেছে কলকাতা। তাতে হারতে হয়েছে চার রানে। ২০২৩ আইপিএলে আহমেদাবাদে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন রিঙ্কু সিং।

ম্যাচের শেষ ওভারে যশ দয়ালকে টানা পাঁচ ছক্কা মেরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে অবিস্মরীয় জয় এনে দিয়েছিলেন রিঙ্কু। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে সোমবার সেরকম প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল। জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ৩৮ আর শেষ ওভারে ২৪ রান দরকার ছিল কেকেআরের। শেষ ১২ বলের ৯টিই খেলেছেন রিঙ্কু। এর ৬টিতেই মেরেছেন চার অথবা ছক্কা। কিন্তু আহমেদাবাদের স্মৃতি ফেরাতে পারলেন না।


ইডেনে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেকেআর।ইডেনের ব্যাটিং সহায়ক পিচে পুরোপুরি ফায়দা তুলে নেয় লখনউ। দুই ওপেনার মিচেল মার্শ এবং মার্করাম শুরু থেকেই বিধ্বংসী ছন্দে খেলতে শুরু করে। ৬ ওভার শেষে লখনউ দলের রান ছিল বিনা উইকেটে ৫৯। ২৮ বলে ৪৭ রান করে হর্ষিত রানার বলে আউট হন মার্করাম। মার্করাম আউট হলেও নিজের ছন্দে খেলে যেতে থাকেন মার্শ। তিনি ৪৮ বলে ৮১ রান করেন। তাঁর ইনিংস ছি্ল ছয়টি চার এবং পাঁচটি ছক্কা। অজি তারকা আউট হওয়ার পর ইডেনে শুরু হল ক্যারিবিয়ান তাণ্ডব। যেন কালবৈশাখী ঝড় তোলেন নিকোলাস পুরান। ৩৬ বলে অপরাজিত ৮৭ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল সাতটি চার এবং আটটি ছক্কা। কালবৈশাখী ঝড় ওঠে নাইটদের ইনিংসেও। কুইন্টন ডি’কক ভালো শুরু করেও বড় রান পাননি। ৯ রান করে ফিরে যান নাইট ওপেনার। সুনীল নারিন ১৩ বলে ৩০ রান করেন। তবু গতিতে উঠছিল রান। এরপর কেকেআর দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন ভেঙ্কটেশ ও রাহানে।

এই ম্যাচের শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে দেখা গিয়েছিল রাহানেকে। তবে ৩৫ বলে ৬১ রান করে আউট হন রাহানে। তাঁর ইনিংসে ছিল আটটি চার এবং দুটি ছক্কা। এরপর রমনদীপ সিং ১, অঙ্গকৃষ রঘুবংশীও ৫ রানের বেশি করতে পারেননি। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ছন্দে থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ২৯ বলে ৪৫ রান করে আউট হন। শেষে চার ওভারে ৫৪ রান প্রয়োজন ছিল কেকেআরের। ফিনিশিংয়ের দায়িত্ব ছিল রিঙ্কু সিং ও রাসেলের ওপরেই। আসল সময়েই ব্যর্থ রাসেল। ৩ বলে 7 রান করে আউট হন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৪ রানের। শেষ পর্যন্ত ২৩৪ রানেই থামে নাইটদের ইনিংস। রিঙ্কু ১৫ বলে ৩৮ রানে অপারজিত থাকেন।পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে হেরে পয়েন্ট তালিকার ছয়ে নেমে গেছে কলকাতা। সমান সংখ্যক ম্যাচে সমান জয়ে লখনউ উঠে এসেছে শীর্ষ চারে।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *