ব্যাটে ভেঙ্কি শো, বলে বি-বি জুটিতে ইডেনে সূর্য ডুবিয়ে জয়ে ফিরল নাইটরা

২৩.৭৫ কোটির ভেঙ্কটেশ। ক্যাপ্টেন হননি ঠিকই, কিন্তু তার মুখের দিকেই তাকিয়ে থাকে কেকেআর। ইডেনে আর আফশোস করতে হয়নি নাইট ভক্তদের। ক্রিকেটের নন্দনকাননে চার-ছক্কার ফুল ফুটিয়েছেন বসন্তের শেষে। ক্রিকেটের নন্দনকাননে মিলল জয়ের আনন্দ। সূর্য ডুবিয়ে ৮০ রানের বিশাল জয় পণ্ডিতের ছেলেদের। ভেঙ্কি শো। সঙ্গে রিঙ্কুর সঙ্গ। তার আগে অঙ্গকৃশ- অজিঙ্কার জুটি। তাতেই ২০০ রান তুলে ফেলে কেকেআর। বিশাল রানের সামনে ১৬ ৪ ওভারে ১২০ রানেই গুটিয়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এই জয়ে পাঁচ নম্বরে উঠে এল বাদশার দল।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে চেনা ছন্দে দেখা যায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের তুরুপের তাস ভেঙ্কিকে। শেষমেষ ২৯ বলে ৬০ রান করে আউট হন আইয়ার। ইনিংসে ছিল ৩টি ছয়, ৭টি চার। শেষ পাঁচ ওভারে তাঁকে সঙ্গ দেন রিঙ্কু সিংও। ১৭ বলে ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন রিঙ্কু। শেষ পাঁচ ওভারে কেকেআর তোলে ৭৮ রান। আর এক ক্রিকেটারের কথা না বললেই নয়, তিনি অঙ্গকৃশ রঘুবংশী। ৩০ বলে ৫০ রান করে ফেরেন রঘুবংশী। আইপিএলে এটা তাঁর দ্বিতীয় অর্ধশতরান। টসে জিতে কেকেআরকে ব্যাট করতে পাঠান সানরাইজার্স অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

তবে শুরুটা এদিনও ভাল হয়নি নাইটদের। ১৬ রানে জোড়া উইকেট হারায়। ডি’কক ১, নারিন ৭। হাল ধরেন অধিনায়ক রাহানে। ২৭ বলে ৩৮ রান করেন কেকেআরের অধিনায়ক। রাহানে, রঘুবংশী ফিরতেই রানের গতি কমে। ১৫ ওভারের শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে রান ছিল ১২২। সেখান থেকেই খেলার রঙ পাল্টে দেন আইয়ার-রিঙ্কুরা। জবাবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ হারের মুখে। ১০ রান তুলতেই তিন উইকেট হারায়। ৭৫ রানের মাথায় ৬ উইকেটের পতন হয়। এরপর ১২০ রানের বেশি তুলতে পারেনি সানরাইজার্স। হায়দরাবাদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন হেনরিক ক্লাসেন ৩৩। নাইটদের ‘বি-বি’ ম্যাজিকেই খেই হারিয়ে ফেলে সাইরাইজার্স। বৈভব আরোরা নেন ৩ উইকেট আর বরুণ চক্রবর্তী নেন ৩ উইকেট। ২টি উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল। একটি করে নেন নারিন ও রানা।গত দু’দিন পিচ নিয়ে বহু চর্চা হয়েছে। টার্নিং উইকেট চেয়েছিল কেকেআর। নাইটদের তিন স্পিনার নিয়ে খেলা দেখে মনে হয়েছিল, পিচ থেকে সাহায্য পাবে স্পিনাররা। কিন্তু উইকেটে যেমন রানও ওঠে, তেমন পেস, স্পিন সবাই উইকেটও পায়। তবে ক্রিকেটের নন্দনকানন এদিন ফাঁকাই ছিল। অধিকাংশ গ্যালারিই ভরেনি। ৩৪ হাজার আসন ভর্তি হয়েছে সর্বসাকুল্যে।