ক্রীড়ামন্ত্রী এলেন না বাগানে, বার পুজোর উৎসবেই বোস বনাম দত্ত

0

স্পোর্টস ডেস্ক: অর্ধেক মোহনবাগানে, অর্ধেক ভবানীপুরে। সবুজ মেরুন দু’ভাগ। আইএসএলে প্রতিদ্বন্দ্বীদের পিছিয়ে অনেকটা এগিয়ে গেলেও, অন্দরের লড়াইয়ে খান-খান পরিস্থিতি যেন বাগানে। অনেকেই জল মাপতে শুরু করে দিয়েছেন। অনেকেই হাওয়া কোনদিকে টার্ন নেবে তাই দেখছেন। আবার অনেকেই সরাসরি যুদ্ধে যেন অবতীর্ণ। বার পুজোর দিনই মোহনবাগানের সামনে পড়ল ‘সৃঞ্জয় বোসকে চাই’ পোস্টার। সকাল থেকেই অবশ্য বাগানের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে বিভেদ ছিল স্পষ্ট। পরপর তিনটি ট্রফি সাজানো ছিল বাগানে। আইএসএল কাপ, লিগ শিল্ড এবং হকিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ট্রফি।

তার চারিপাশে বিশাল বড় একটি গোলাপের আবরণ। মোহনবাগানে আইএসএলের জোড়া ট্রফি দেখতে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও, জৌলস ছিল কমই। কারণ, ছুটির কারণে যেমন আসেননি বর্তমান দলের ফুটবলাররা, তেমনই আইপিএলের জন্য আসেননি সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও। অধিনায়ক শুভাশিস বোসও ছিলেন না। ছিলেন তরুণ তুর্কী দীপেন্দু বিশ্বাস, দীপক টাংরি আর দুই প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত ভট্টাচার্য। পরে অবশ্য আসেন বিদেশ বোস। এরমধ্যেই আবার নতুন জলঘোলা শুরু হয় ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস না আসায়। কারণ, আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে পড়শি ক্লাবে ক্রীড়ামন্ত্রী গিয়ে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটালেও, মোহনবাগানের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তিনি আসেননি। সচিব দেবাশিস বলেন, ‘ওঁর না আসাটা দুঃখজনক। কষ্ট পেয়েছি। এফএসডিএলের (আইএসএলের আয়োজক) ভুল কাজের খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে।’

অন্য দিকে, মোহনবাগানের সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘ক্লাবের তরফে ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলেই শুনেছি। তিনি শুধু রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী নন, ক্রীড়াপ্রেমীও। কেন আমন্ত্রিত হয়েও মোহনবাগানের অনুষ্ঠানে এলেন না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন’। মোহনবাগান টু ভবানীপুর, দুই কর্তার কথার লড়াইও চলেছে বিস্তর। দেবাশিস দত্ত বলেন, আমাদের কাজ ভাবুন গত ৩ বছরের সাফল্য ভাবুন উন্নয়ন ভাবুন। আমার চেয়ার আমার কিছু না মোহনবাগানই আসল। ‘ সৃঞ্জয় এদিন বলেন, ‘আমি সারা বছরই সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি, গ্যালারিতে বসে খেলা দেখি। নির্বাচনের জন্যই মাঠে নেমেছি, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই।’

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *