বার পুজোতেও তাল কাটল ইস্টবেঙ্গলে, বছরের প্রথম দিনই আবার সেই অস্কার-ক্লেটন ঝামেলা
স্পোর্টস ডেস্ক: রীতি-নীতি মেনেই বারপুজো। গোল না খাওয়ার শপথ। ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞা। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা মনমরা হলেও, সেই কাজটাই সুষ্ঠুভাবে করতে চেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তা আর হল কোথায়! বাংলা বছরের প্রথম দিনই তাল কাটল ক্লাবে। বার পুজোর দিনই প্রথম অনুশীলন ক্লাবের মাঠে ডেকেছিলেন অস্কার ব্রুজো। পুজোর সঙ্গেই অনুশীলনও চলছিল বেশ। কিন্তু শুভদিনেই ঝামেলা শুরু হয় ক্লেটন সিলভা ও অস্কোর ব্রুজোর। প্রথমে বেশ খোশমেজাজেই অনুশীলন করছিলেন ক্লেটন সিলভা। তারপর আচমকাই অস্কারকে উদ্দেশ্য করে কিছু একটা বলেন লাল হলুদের স্ট্রাইকার।
পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে সৌভিক চক্রবর্তী একপ্রকার জোর করেই মাঠের বাইরে নিয়ে যান ক্লেটনকে। দিন তিনেক আগে ইস্টবেঙ্গল চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে একটি প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলেছিল। সেই ম্যাচে অস্কার সাবস্টিটিউট হিসেবে ক্লেটনকে নামিয়েছিলেন। পিছন থেকে খেলতে বলেন অস্কার। ক্লেটন ৩০-৪০ সেকেন্ড মাঠে ছিলেন। কোচের কথা মেনে নিতে পারেননি। এরপরই তাঁর সঙ্গে মতানৈক্য হয় ক্লেটনের। ঝামেলা হওয়ার পর প্র্যাক্টিস ছেড়ে সঙ্গে সঙ্গে ক্লেটন বেরিয়ে যান। একই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি বার পুজোর দিনও। বরফ যে গলেনি তা স্পষ্ট। ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার অবশ্য বিষয়টা স্পোর্টিংলি নিতে চাইছেন। কারণও অবশ্য স্পষ্ট। সামনে যে সুপার কাপ। অশান্তির বাতাবরণ চাইছেন না তিনি।
দেবব্রত সরকার বলেন, ‘সুভাষ ভৌমিক যখন কোচ ছিল এই ঘটনা রোজ হত। এটা নতুন কিছু নয়। তাতেও সাফল্য এসেছে। কোচের সঙ্গে ফুটবলারের এমন চ্যালেঞ্জ থাকবে। এটাই প্রথম পদক্ষেপ। ঝামেলা থাকবে, তার মানে এই নয় যে বিশৃঙ্খলার চূড়ান্ত হবে। তবে কোচের সঙ্গে যে ফুটবলারের এই চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেটা আমাদের জন্য ভালো দিক।’ তিনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করলেও, দলের মধ্যে প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন অনেকে।সুপার কাপ খেলতে ১৯ তারিখ ভুবনেশ্বর উড়ে যাবে ইস্টবেঙ্গল দল।