মাধ্যমিকে অষ্টম পুষ্পক আদতে বিহারের বাসিন্দা, পড়াশোনার তাগিদেই নরেন্দ্রপুরে এসে ঝরঝরে বাংলা শেখা
ট্রেন্ডিং: পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিকের জ্বলজ্বল করছে পুষ্পক রত্নমের নাম। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র পুষ্পক অষ্টম স্থানের অধিকারী। নম্বর পেয়েছে ৬৮৮। ঝরঝরে বাংলায় লেখা ও কথা বলা পুষ্পক রত্নম কিন্তু আদতে বিহারের নালন্দার বাসিন্দা। শুধুমাত্র পড়াশোনার তাগিদেই কলকাতায় আসা আর রামকৃষ্ণ আশ্রমে ভর্তি হওয়া তাঁর। বিহার থেকে কেন বাংলায় এসে পড়াশোনা, তার উত্তরে পুষ্পক জানিয়েছে, তাঁর দুই দাদাও এই স্কুলেরই ছাত্র ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন ১৯৯৮ সাল এবং অন্যজন ২০১৪ সালে মাধ্যমিক পাশ করেন। পরিবার ও আত্মীয়দের তাই ইচ্ছেই ছিল, মেধাবী পুষ্পকও এই একই স্কুলে পড়াশোনা করুক। সে’কারণেই পঞ্চম শ্রেণি থেকে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে পড়াশোনা করছে পুষ্পক।
নরেন্দ্রপুরের পুষ্পকের আরও দুই সহপাঠী সোমতীর্থ করণ পঞ্চম স্থান পেয়েছে। প্রাপ্য নম্বর ৬৯১। পুষ্পক চায়, বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে। উচ্চ শিক্ষিত হয়ে নিজেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি কাশ্মীরের ঘটনা নিয়েও নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পুষ্পক রত্নম। জঙ্গি হামলায় পযটক মৃত্যুর তীব্র নিন্দা করে পুষ্পক বলে, ‘যেভাবে পাকিস্তান বারে বারে ভারতের মাটিকে রক্তাক্ত করছে, তাতে আমি চাই দেশ এর বদলা নিক। ওদের যোগ্য জবাব দিক।’
নরেন্দ্রপুরের নিয়মানুবর্তিতা ও নিয়ম করে পড়াশোনাই তাঁকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে বলে মনে করে পুষ্পক। সে জানায়, ‘ভালো নম্বর পাবো আশা করেছিলাম, কিন্তু স্থান হবে আশা করিনি। মেডিক্যাল নিয়ে পড়াশোনা করছি নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনেই। আগামীদিনে মেডিক্যাল লাইন নিয়েই এগোনোর ইচ্ছে রয়েছে।’
রামকৃষ্ণ মিশনের নিয়মানুবর্তিতা মেনে রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা করত পুষ্পক। রাত ১১টা পর্যন্ত নাইট স্টাডি করত। স্কুলের পাশাপাশি নিজেও ৬ ঘণ্টা পড়াশোনা করত । অঙ্ক প্রিয় বিষয় ছিল তাঁর। এছাড়াও বায়োলজি সবথেকে পছন্দের বিষয়। সে চায় বড় হয়ে চিকিৎসক হতে। আর ভালোবাসে চিকেন বিরিয়ানি খেতে। সেইসঙ্গে ক্রিকেটও পুষ্পকের পছন্দের বিষয়।