ঘুম ছুটেছিল বাংলাদেশের, সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই চিন্ময় প্রভুর জামিনে স্থগিতাদেশ
ট্রেন্ডিং: চিন্ময় প্রভুকে নিয়ে পরিহাস করছে বাংলাদেশের ইউনুস সরকার। রাষ্ট্রদোহের অভিযোগে দীর্ঘ পাঁচ মাস পর জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। ফিরেছিল স্বস্তি। কিন্তু অস্বস্তি বাড়িয়ে সেই নির্দেশেই স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবারই বাংলাদেশের হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। তবে দিনের বেলায় জামিন পেলেও সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। সন্ধেতেই তাঁর জামিনের আদেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের ‘আপিল বিভাগ’।
এ যেন ন্যায়বিচার নিয়ে পরিহাস চলছে। দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকার পর গত বুধবার জামিন পেয়েছিলেন চিন্ময় প্রভু। তবে ফের তাঁর জামিনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি হওয়ায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আবার জেলবন্দি হতে হবে কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।গত বছর নভেম্বরের ২৫ তারিখে ইউনূস সরকার ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে। গত ২৬ নভেম্বর থেকে কারাবন্দি রয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন চট্টগ্রামের এক বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। নিম্ন আদালত, পরে হাই কোর্টে আবেদন করেও জামিন পাচ্ছিলেন না এই সাধু। অবশেষে বুধবার উচ্চ আদালতের দুই বিচারপতি জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু জামিন পেয়েও মুক্তি মিলল না। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের ‘আপিল বিভাগ’- এর বিচারপতি রেজাউল হক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদনে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশের হাই কোর্ট চিন্ময় প্রভুকে জামিন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি আবেদন করেছিল ‘স্টেট কাউন্সিল’ সেই আপিল শোনার পরই চিন্ময় প্রভুর জামিনের আবেদনে স্থগিতাদেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতি রেজাউল হক। সূত্র খবর,নতুন যে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে তার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশ্যে আসা না পর্যন্ত এবং আপিলের পুনরায় অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত চিন্ময় প্রভুর জামিনের আবেদনে স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। তাঁকে জেলে বন্দি করে রাখার দাবিতে নতুন করে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ইউনূস সরকারের অনুগতরা। সেই বিক্ষোভ সমাবেশের ফেস্টুনে ‘জঙ্গি’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে কৃষ্ণভক্ত এই সন্ন্যাসীকে।