পাকিস্তানি সেনাকে দুষে সাহায্য চেয়েছিলেন মোদীর কাছে! বিতর্কে সরব পাক অভিনেত্রী হানিয়া
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: পাকিস্তানি অভিনেত্রী হলেও ভারতে কিন্তু জনপ্রিয়তা কম নয় হানিয়া আমিরের। এই দেশেও তাঁর অনুরাগী সংখ্যা বেশ ঈর্ষার যোগ্য। কিন্তু সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক পহেলগাঁও ঘটনা যেন নাড়িয়ে দিয়েছে দুই দেশের বিনোদন জগৎকেও। এই আবহেই একাধিকবার আলোচনায় উঠে এসেছে হানিয়ার নাম। কখনও ভারতে পাকিস্তানি শিল্পীদের কাজ নিষিদ্ধ করার খবরকে কেন্দ্র করে আবার কখনও এই দেশে তাঁর সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হওয়াকে ঘিরে।
সদ্যই এই প্রসঙ্গে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে নেটমাধ্যমে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নিজের দেশের সেনার বিরুদ্ধে নাকি সরব হয়েছিলেন পাক অভিনেত্রী। এখানেই শেষ নয়, অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হওয়ার পর তার সমাধান খুঁজতে নাকি দ্বারস্থও হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। হানিয়ার নাম করে একটি মন্তব্য ভাইরাল হয় ঝড়ের গতিতে। মন্তব্যটি হল, ‘কাশ্মীরে যে কাণ্ড পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির ঘটিয়েছেন, তার জন্য পাকিস্তানের গোটা বিনোদন জগতে প্রভাব পড়েছে। ভারতে পাকিস্তানের বিনোদন জগৎকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এমনকি আমাদের সমাজমাধ্যমও নিষিদ্ধ। আমি অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে অনুরোধ করছি। আমরা, যারা পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ, তারা তো ভারতের বিরুদ্ধে কোনও ভুল করিনি। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা এই পহেলগাঁও ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন। তার জন্য পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে কেন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে? পাকিস্তানি আর্মি এবং সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুন। এই দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে নয়।’

বিতর্ক বাড়তেই সত্য প্রকাশ্যে আনলেন হানিয়া। একটি বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘সম্প্রতি আমার নাম করে একটি ভুয়ো মন্তব্য ছড়ানো হচ্ছে সমাজমাধ্যমে। এই বিষয়ে আমি সরাসরি বলছি, আমি মোটেই এই মন্তব্য করিনি। এই ধরনের কোনও মন্তব্যের সঙ্গেই আমি কোনও ভাবে যুক্ত নই। এর পুরোটাই নকল ও মিথ্যে। আমার ব্যক্তিত্ব ও বিশ্বাসকে এই মন্তব্য ভুল ভাবে তুলে ধরছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর ও আবেগপ্রবণ। এই ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন ও তাঁদের পরিবারের জন্য আমিও দুঃখিত। এমন পরিস্থিতিতে সহানুভূতি প্রয়োজন। রাজনীতি নয়। মৌলবাদীদের কাজকর্ম দিয়ে কখনওই একটা দেশ ও সেই দেশের মানুষকে বিচার করবেন না।’