কেকেআরের ঘরের মাঠ ইডেনে বিরাট শো, বাদশার সামনেই হার

ঝড় উঠল। বিরাট ঝড়। তাতেই ঘরের মাঠে উড়ে গেল কেকেআর। বাদশার সঙ্গে বিরাট নাচলেন। বাদশার সামনেই বিরাট জিতলেন। ২২ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল আরসিবি।
কালীঘাটে পুজো দিয়েও আইপিএল অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে হার বাঁচাতে পারলেন না। ইডেন জুড়ে শুধুই বিরাট গর্জন। টসে জিতে কেকেআরকে ব্যাট করতে পাঠায় আরসিবি। কেকেআর তোলে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান। তাতে ৩ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। মাত্র ৩৬ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন বিরাট কোহলি। এই ইনিংসে ছিল ৪ চার ও ৩ ছক্কা। শুধু কোহলি নয়, ছাড়খাড় করেছেন আর এক কেকেআর প্রাক্তনী ফিল সল্টও। কোহলির সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে ৩১ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন।

ওপেনিং জুটিতেই হার নিশ্চিত হয়ে যায় কার্যত কেকেআরের। এছাড়া আরসিবি অধিনায়ক রজত পাতিদার ১৬ বলে ৩৪ করেন। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার দেবদত্ত পাড্ডিকাল করেন ১০। লিভিংস্টোন ১৫ রানে অপরাজিত। বরুণ বা নারিন একটা করে উইকেট পেলেও তাঁদের কোনও জাদুই কাজে আসেনি।
কেকেআরের ইনিংসে অজিঙ্কা রাহানে ও সুনীল নারিন ১০৫ রানের পার্টনারশিপ করলেও ২০০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেনি কেকেআর। ডি’কক প্রথম ওভারেই চার রানে ফেরেন। এরপরও এই জুটি ৯.৫ ওভারে ১০০ রান করে ফেলে। এরপরই তিন বলের ব্যবধানে ফেরেন নারিন ও রাহানে। পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে নারিন করেন ২৬ বলে ৪৪। ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করা রাহানে করেন ৩১ বলে ৫৬। তাতে রয়েছে ৬টি চার ও চারটি ছয়। অঙ্গকৃষ রঘুবংশী ২২ বলে ৩০ রান করেন। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ৬, রিঙ্কু সিং ১২, আন্দ্রে রাসেল ৪ ও হর্ষিত রানা ৫ রান করে আউট হন। ক্রুণাল পাণ্ডিয়া ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। জশ হ্যাজলউড ৪ ওভারে নেন ২ উইকেট। যশ দয়াল ৩ ওভারে ২৫, রসিখ সালাম দার ৩ ওভারে ৩৫ ও সুযশ শর্মা ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ১টি করে উইকেট নেন। আরসিবি জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ১৬.৩ ওভারেই। বিরাট কোহলি ম্যাচ জেতার পাশাপাশি এদিন আইপিএল কেরিয়ারের ৫৬তম অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ৩০ বল খেলে। পঞ্চাশের বেশি রান করলেন এই নিয়ে ৬৪ বার। তারই ফাঁকে কেকেআরের বিরুদ্ধে কোহলির ১০০০ রান পূর্ণ হয় ইডেনে। এই নিয়ে চতুর্থ আইপিএল দলের বিরুদ্ধে এই নজির গড়লেন বিরাট।