দুই দলের ফুটবলারদের ব্যক্তিগত দ্বৈরথেই নির্ভর করবে শেষ হাসি হাসবে কে!
স্পোর্টস ডেস্ক: মোহনবাগানের সব স্বাদ পাওয়া হয়ে গেছে, শুধু দ্বিমুকুট জয় আসেনি। শনিবার ঘরের মাঠে সুবর্ণ সুযোগের সামনে দাঁড়িয়ে ম্যাকলারেন, পেত্রাতস, জেসন কামিন্সরা। আশায় বুক বাঁধছেন সবুজ মেরুন সমর্থকরা। সামনে বেঙ্গালুরু এফসি। সুনীলদের হারাতে পারলেই জোড়া ট্রফি জয়ের হাতছানি, একেবারে ষোলকলা পূর্ণ। সারা মরসুমে যে ভাবে বারবার চড়াই-উতরাই পেরিয়ে খেতাবের সামনে এসে পৌঁছেছে সুনীল ছেত্রী ও তাঁর বাহিনী। পুরনো প্রতিশোধের আগুন তো রয়েইছে তাদের। ২০২২-২৩ মরসুমে গোয়ার মাঠে টাইব্রেকারে বেঙ্গালুরুকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান। যদিও গতবার ফাইনালে মুম্বইয়ের কাছে হেরে মোহনবাগানেরও আফশোস রয়েছে। তীরে এসে তরী ডোবাতে চান না কেউই।

বাগান কোচ হোসে মোলিনা বলেন, ‘অতীতে কী হয়েছে সেই নিয়ে আমি ভাবি না। আমি সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা সবার ওপরে আছি। আমরা লিগ শিল্ড জিতেছি। এটাই আমাদের মোটিভেশন। আইএসএল কাপ জেতার জন্য উদগ্রীব। ছেলেরা তেতে রয়েছে। আগের বছর ফাইনালে হার থেকে বাড়তি মোটিভেশনের প্রয়োজন নেই। আমরা ১০০ শতাংশ মোটিভেটেড। আমরা ইতিহাস রচনা করতে চাই।’
দুই দলেই একঝাঁক দুর্ধর্ষ ফুটবলার। একপক্ষের আক্রমণে যেমন জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিংসদের মতো ধারালো স্ট্রাইকাররা, অন্যদিকে তেমন সুনীল ছেত্রী, রায়ান উইলিয়ামসদের মতো গোলমেকার ও স্কোরার দুইই। একপক্ষের মাঝমাঠে যেমন আপুইয়া, মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসোদের রাজত্ব, অপর পক্ষের মাঝমাঠে তেমনই আলবার্তো নগুয়েরা, পেদ্রো কাপো, সুরেশ সিংদের দাপট। দূর্গরক্ষায় যেমন আলবার্তো রড্রিগেজ, টম অলড্রেডদের জুড়ি মেলা ভার, তেমনই রাহুল ভেকে, রোশন সিং, চিঙলেনসানা সিংরা বেঙ্গালুরুর দূর্গ রক্ষায় সর্বদা মরিয়া। তাই দুই দলের লড়াই ছাড়াও মাঠের বিভিন্ন জায়গায় ব্যক্তিগত দ্বৈরথও উঠবে চরমে। তবে ঘরের মাঠে বাড়তি সুবিধা পাবে মোহনবাগান, সমর্থকদের গর্জনে।

এই নিয়ে বাগান কোচ বলেন, ‘আমরা ঠাসা স্টেডিয়ামে নামার জন্য উত্তেজিত। এটাই আমাদের বড় মোটিভেশন। সারা বছর ধরে সমর্থকরা আমাদের পাশে থেকেছে। ওরাই আমাদের ভরসা। আশা করছি সমর্থকদের সামনে আমাদের সেরাটা বেরিয়ে আসবে।’ আপুইয়া, মনবীর সম্পূর্ণ ফিট। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে পরে নামলেও, ফাইনালে মনবীরের প্রথম একাদশে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। বেঙ্গালুরু কোচ জেরার্ড জারাগোজা বলেন, ‘আমরা জিতলেই ফ্যানরা খুশি। ৫-৪, ২-০ বা অন্য কোনও স্কোরলাইনের গুরুত্ব নেই। জয়ের চেষ্টাই আসল।’ শনিবারের যুবভারতীতে ইতিহাস কোন দিকে রচনা হয়, তাই দেখার অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা।