ছেলেদের ব্যর্থতার মাঝে মেয়েরাই জ্বালল মশাল, ভারতসেরা ইস্টবেঙ্গল

ছেলেদের আই লিগে কখনও মশাল জ্বলেনি ইস্টবেঙ্গলে। অবশেষে জ্বলল। মেয়েদের হাত ধরে লাল হলুদ তাঁবুতে এল ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগ। মেয়েদের দৌলতেই ভারতসেরা ইস্টবেঙ্গল। কল্যাণী স্টেডিয়ামে সৌম্যা গুগুলোথের জয়সূচক গোলে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওড়িশা এফসিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের প্রথম ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগ (আইডব্লিউএল) ট্রফি জয় করল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচে ৬৯ মিনিট পর্যন্ত কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। তবে শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ খোলেন ইস্টবেঙ্গলের সৌম্যা গুগুলোথ। এর আগে ২০২২ সালেও গোকুলম কেরলের হয়েও আই লিগ জিতেছিলেন সৌম্যা ।

জয়ের পরে মাঠেই আনন্দে ভেসে যায় লাল হলুদের মেয়েরা। মেয়েদের হাত ধরে প্রথমবার এবং প্রায় দুইদশক পর জাতীয় লিগ খেতাব ঘরে তোলার পাশাপাশি এএফসি কাপের প্লে অফে যোগ্যতা অর্জন করলো ইস্টবেঙ্গলের মহিলা ফুটবল দল, যা নিঃসন্দেহে লাল হলুদ ক্লাবে ঐতিহাসিক ঘটনা। এবার বাংলা থেকে দুটি দল উমেন্স লিগ খেলার সুযোগ পেয়েছিল। একটি ইস্টবেঙ্গল, অন্যটি শ্রীভূমি। সেখানে বাংলার নাম উজ্জ্বল করল লাল হলুদ। তিনবার অংশ নিয়ে এই প্রথমবার এই ট্রফি জিতল ইস্টবেঙ্গল। মোট ১২ ম্যাচের মধ্যে ১০টিতে জয় এবং একটি ড্র, একটি হার। রেকর্ড গড়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাঁরা। ২১ বছর পর ঘরোয়া লিগ জিতল ইস্টবেঙ্গল। শেষ বার ২০০৩-০৪ মরসুমে জাতীয় লিগ জিতেছিল পুরুষ দল।

লাল-হলুদের ছেলের সাম্প্রতিক সাফল্য বলতে ২০২৪ সালের সুপার কাপ জয়। সেটা জিতেই এশিয়ায় খেলতে গেছিল তাঁরা। মহিলাদের এই জয়ে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেছেন, ‘এটা বলার ব্যাখ্যা রাখে না। এটা আমাদের আমজনতা, কোটি কোটি সমর্থকদের হাসি নতুন বছরের আগে তুলে দিল। আমি সর্বপ্রথম কোচ থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানাই। ওদের যারা সাপোর্ট করেছে সেই সাপোর্টিং স্টাফদের ধন্যবাদ জানাই। আগামী ১৮ এপ্রিল খেলা সেই গোকুলমের সঙ্গেই। সে দিনই আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের হাতে লিগ তুলে দেওয়া হবে।