‘বদল নয়, বদলা চাই! জঙ্গীদের বাড়ি ঢুকে…’ ‘মা’ কাশ্মীরের জন্য হাহাকার ভরত কলের বুকে
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: কলকাতার অভিনেতা হলেও ভূস্বর্গের মাটিতে জড়িয়ে শিকড়। অভিনেতা ভরত কলের কাছে কাশ্মীর হল ‘মা’-এর সমান। তার বুকেই এমন মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড। শহরে বসেও মন কাঁদছে তাঁর। পহেলগাঁও ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “আর বদল নয়। এ বার বদলা চাই।”
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই ভরত কল ফিরে যান ১৯৮৯ সালে। তিনি বলেন, “১৯৮৯ সালে সবথেকে বড় জেনোসাইড হয়েছিল। যেখানে কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ মেয়েদের ধর্ষণ করা হয়েছিল। তাঁদের বাবাদের খুন করা হয়েছিল। সেই সময়ে বালাসাহেব ঠাকরের অবদান ভোলার নয়। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র জুড়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিক্যাল কলেজগুলিতে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ২০ শতাংশ দেওয়া হবে। সেই সময়ে তিনি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আজ যা হয়েছে, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। ভারত সরকারের কাছে আমার বার্তা, আমরা যদি এর প্রতিবাদ না করি, তা হলে তা আমাদের কাছে আরও লজ্জাজনক হয়ে উঠবে।”
অভিনেতার দাবি, “যারা এই কাজটা করেছে, তাদের খুঁজে বের করা হোক। যারা লুকিয়ে রয়েছেন, পাকিস্তানে ঢুকে তাদের শাস্তি দেওয়া উচিত। যদি যুদ্ধ করতে হয়, সেটাই করব। আর বদল নয়। বদলা চাই। এইসব জল বন্ধ করে দিলে তাঁদের কিছু ক্ষতি হবে না। বাড়িতে ঢুকে প্রতিটা রক্তের ফোটার বদলা নেওয়া উচিত।”
এই প্রসঙ্গ ধরেই অভিনেতা এই পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। তিনি বলেন, “যদি মনে হয় আমি সবার আগে ভারতীয়, তাহলে কাশ্মীরে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কারণ সেখানকার স্থানীয়দের সাহায্য ছাড়া এই ঘটনা ঘটতে পারে না কখনই। পাকিস্তান থেকে আসা মুখের কথা নয়। জঙ্গিরা এসেছে, কাশ্মীরে থেকেছে। আর্মির পোশাক জোগাড় করেছে। এর নেপথ্যে পুরো পরিকল্পনা রয়েছে। যারা এদের সাহায্য করেছে, তাদেরও বের করা উচিত।”
অভিনেতার কাছে কাশ্মীর মানেই মা। তাঁর স্পষ্ট জবাব, “কাশ্মীর আমার মা। তার জন্য যদি কলকাতায় বসে দশ হাজারটা শত্রু তৈরি করতে পারি, তাতেও অসুবিধা নেই। কিন্তু কাশ্মীর ছাড়তে পারব না। আমি দু’রাত ঘুমোতে পারিনি এই ঘটনা শোনার পর। ওই স্বামীহারা মহিলাদের কান্না আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ৮৯-এও আমার ‘মা’ কাশ্মীরের ধর্ষণ হয়েছিল, আজও হয়েছে।”