মেয়েদের হাত ধরেই ঘরের মাঠে ভারতসেরার উচ্ছ্বাস লাল হলুদের

ছেলেরা কথা না রাখলেও, মেয়েরা ঠিকই রেখেছে। তাই আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের পুরুষ দলের ব্যর্থতার ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিল লাল হলুদের মেয়েরা। গতবার সুপার কাপ জয় ভারতসেরা হওয়ার পর মেয়েদের হাত ধরেই ঘরের মাঠে ভারতসেরার উচ্ছ্বাসে ভাসল মেয়েরা। চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফিটা হাতে পাওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। কারণ গোকুলাম কেরালার বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগের শেষ ম্যাচের আগেই ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়ার কাজটা সেরে রেখেছিলেন।

শেষ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল সংশয়াতীত প্রাধান্য রেখে গোকুলাম এফসি-কে ৩-০ গোলে হারিয়ে দেয়। অ্যান্থনি অ্যান্ড্রিউজের মেয়েরা কথা দিয়েছিলেন কোচকে, এ ম্যাচ জিতেই ট্রফি নেবেন। কথা রাখলেন আশালতা, সৌম্যা, পান্থইরা। প্রথমার্ধেই গোকুলামের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। ঘানার এলসাদ্দাই ২টি ও সৌম্যা গুগুলথ ১টি গোল করেন।

এদিন ইস্টবেঙ্গলের এই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে নববর্ষের পর এদিনও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মাঠে আসেন।ছিলেন আইএফএ সভাপতি অনির্বাণ দত্ত, সচিব অজিত বন্দোপাধ্যায় এবং এআইএফএফের তরফে সুব্রত পাল। বেশ কয়েক হাজার দর্শকের মধ্যে ছিল প্রচুর সংখ্যক স্কুলের ছাত্রছাত্রী। ঠাকুরপুকুরের সেভ দ্য চিলড্রেন্স হোমের মেয়েদের হাতে ফুটবল তুলে দেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সঙ্গে ছিল সমবেত ঢাকের বোল। সবমিলিয়ে শুক্রবারের বিকেলে ইস্টবেঙ্গল মাঠ ছিল জমজমাট।

ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সংবর্ধিত করা হল মহিলা টিমকে বিজয়ী ইস্টবেঙ্গল দলের মেয়েদের হাতে ১২ লক্ষ টাকার চেক এবং প্রত্যেককে একটি করে হাতঘড়ি তুলে দেন ক্লাব সভাপতি মুরারি লাল লোহিয়া। ছিলেন ডাঃ প্রণব দাসগুপ্ত, সহ সভাপতি কল্যাণ মজুমদার, সচিব রূপক সাহা, দেবব্রত সরকার, রজত গুহ প্রমুখ।সভাপতি মুরারি লাল লোহিয়া প্রত্যেক খেলোয়াড়দের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সম্পূর্ণ নতুন একটি বাস দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।