দিলীপের বিয়ের মেনুতে কী কী থাকছে? কারা থাকছেন? কোথায় সারবেন হানিমুন?

মধুরেণ সমাপয়েৎ। পদ্মবনেই ফুটেছে গোলাপ। জীবনের ৬০টি বসন্ত পেরিয়ে বৈশাখের সন্ধেয় ফুটছে বিয়ের ফুল। বিয়ে করছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাত্রী? দলীয় কর্মী রিঙ্কু মজুমদার। দিলীপের রাজারহাটের বাড়িতেই হিন্দু রীতি মেনে কাছের মানুষদের উপস্থিতিতেই সিঁদুর পরিয়ে, মালা বদল করে চার হাত এক হবে। সূত্রের খবর, নিকটাত্মীয়দের নিয়েই শুক্রবার গোধূলি লগ্নে বিয়ে সারছেন দিলীপ ঘোষ। বিয়েতে হাজির থাকবেন দুই বাড়ির ৩০ জন আর নিরাপত্তারক্ষী ১০ জন। একেবারে ঘনিষ্ঠবৃত্তেই বিয়ে সারছেন দিলীপ-রিঙ্কু। বিজেপি নেতার তরফে থাকছেন তাঁর মা। রিঙ্কু মজুমদারের তরফে আসেবেন তাঁর মামা, মামি, মা ও ঘনিষ্ঠ কয়েকজন আত্মীয়। অতিথিদের জন্য বিয়ের মেনুতে মাংস থাকছে না ঠিকই। তবে থাকবে মাছের পদ। মেনুতে থাকছে- ভাত, ডাল, আলুর চিপস, পাঁচমিশেলি তরকারি, কাতলা মাছের কালিয়া, আইসক্রিম, রসগোল্লা। তবে নিমন্ত্রিত হোন আর নাই হোন, গেরুয়া শিবিরের নেতানেত্রীদের মধ্যে শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সুনীল বনশলরা তাঁর বাড়িতে যান। উপহারও দেন।

১৯ এপ্রিল দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। ওইদিন প্রাতঃভ্রমণে ১৫০ জনকে ইডলি খাওয়াবেন। সেদিনই খড়গপুরে যাওয়ার কথা সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষের।রিঙ্কু মজুমদার এদিন সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাত্কারে বলেন, ‘ও অবশ্য বলে দিয়েছে আশা করো না ফুচকা খাওয়াতে নিয়ে যাব, শপিংয়ে নিয়ে যাব। আমি অবশ্য ভাবি না। রান্না করে ছোট মাছ খাওয়াবষ ওটা খেতে ও খুব ভালবাসে। আর কোথায় হানিমুনে যাওয়ার ইচ্ছে? রিঙ্কু জানান, ‘হানিমুন ডেস্টিনেশন হিসেবে সিমলা বা গোয়া যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। তবে এখনই যেতে পারব কিনা জানি না।রাজনৈতিক মহলের অন্দরে কান পাতলে শোনা গিয়েছে, দিলীপ ঘোষকে বিয়ের প্রস্তাবটা নাকি তিনিই আগে দিয়েছিলেন। প্রথমে পাত্র অবশ্য নিমরাজি ছিলেন। ততদিনে দিলীপের বাড়িতে যাতায়াত বেড়ে গিয়েছিল রিঙ্কুর। এরপর মায়ের জোরাজুরিতেই রাজি হয়ে যান দিলীপ ঘোষ।তাদের বিয়েতে শুভেচ্ছা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পাঠান ফুলও।কুণাল ঘোষ অবশ্য এককাঠি উপরে গিয়েই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তিনি লেখেন, ‘যেহেতু মর্নিং ওয়াকে নিয়মিত যেতেন ইকো পার্কে, যেহেতু ওখানেই পরিচয় থেকে আজ পরিণয় এবং যেহেতু ওই অপূর্ব ইকো পার্কটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি, তাই এই মিলনের পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা সত্যিই অনস্বীকার্য।’