সুপার কাপে শুরুতেই কোয়ার্টারে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল জিতলেই ডার্বি

সুপার কাপে সেরা দল নামাবে না সবুজ মেরুন। হটসিটে থাকবেন না হোসে মোলিনাও। সহকারী কোচ বাস্তব রায়ের অধীনে মূলত জুনিয়র দল নিয়েই নামবে মোহনবাগান। সুপার কাপে অবশ্য শুরুতেই স্বস্তি পেয়েছে মোহনবাগান। চার্চিল ব্রাদার্স টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায়, সরাসরি পরের রাউন্ডে চলে যায় আইএসএল জয়ীরা। ১৩ এপ্রিল এআইএফএফ’কে চিঠি দিয়ে নাম প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছিল চার্চিল। ঘটনার সূত্রপাত আই লিগের চ্যাম্পিয়ন কে হবে, সেই জটিলতা নিয়ে। পয়েন্ট তালিকায় চার্চিল এগিয়ে থাকলেও, ইন্টার কাশীর আবেদনের জন্য এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এআইএফএফ। আই লিগে চ্যাম্পিয়ন কে নির্ধারিত না হওয়ায় তাই সুপার কাপের সূচির জন্য কার্যত লটারি করে এআইএফএফ। যে পদ্ধতিতে ‘অনিয়ম’ ও ‘স্বচ্ছতার অভাব’ রয়েছে অভিযোগ তুলে নাম প্রত্যাহার করে চার্চিল ব্রাদার্স। ২৬ এপ্রিল ইস্টবেঙ্গল-কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচের বিজয়ী দলের মুখোমুখি হবে মোহনবাগান। অর্থাৎ ইস্টবেঙ্গল তাদের প্রথম ম্যাচ জিতলে কোয়ার্টার ফাইনালেই হবে ডার্বি। আইএসএল লিগ শিল্ড জেতায় এএফসিতে খেলার ছাড়পত্র ইতিমধ্যেই অর্জন করে ফেলেছে হোসে মোলিনার দল। তাই সুপার কাপ বাগানের কাছে গুরুত্বহীন। তাছাড়া বছরভর রিজার্ভ বেঞ্চে কাটানো ফুটবলারদেরও সুযোগ দিতে চায় ম্যানেজমেন্ট। সুপার কাপে যুগ্মভাবে মোহনবাগানের কোচের দায়িত্ব সামলাবেন বাস্তব রায় এবং ডেগি কার্ডোজো। সুপার কাপে একমাত্র বিদেশি নুনো রেইস। বাকি সব স্থানীয় ফুটবলার। এই তালিকায় আছেন আশিক কুরুনিয়ন, সাহাল আব্দুল সামাদ, দীপক টাংরি, দীপেন্দু বিশ্বাস, অভিষেক সূর্যবংশী, সুহেল ভাট। রিলায়েন্সের ইউথ ডেভেলপমেন্ট লিগ জয়ী জুনিয়র ফুটবলারদেরও এই সুপার কাপে সুযোগ দেওয়া হবে। ২৬ এপ্রিল সবুজ মেরুনের সুপার কাপ যাত্রা শুরু হবে। ২৫ এপ্রিল ভুবনেশ্বর উড়ে যাওয়ার কথা সামাদ, আশিকদের। অন্যদিকে সময় বদলেছে লাল হলুদের প্রথম ম্যাচের। ইস্টবেঙ্গল ও কেরালা ব্লাস্টার্সের ম্যাচটি এপ্রিলের ২০ তারিখ রাত ৮টা থেকে হবে।