একমুঠো বীজে জীবনদায়ী গুণ! সূর্যমুখীর বীজ খেলে বিদায় নেবে এক ডজন রোগ, রোজ কতটা খেতে হবে জানেন?
কেবল বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি অথবা রান্নার তেল নয়, স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তার নিরিখেও সূর্যমুখীর গুরুত্ব অনেক। তেল ছাড়া কিন্তু বাঙালির হেঁসেলে অত প্রচলন নেই এই ফুলের। সূর্যমুখীর বীজের উপকারিতা শুনলে বাজারের ফর্দে রোজ যোগ হবে এই জিনিস।
ডায়েটিশিয়ান গিলিয়ান কালবার্টসন (আরডি, এলডি) বলেন, ‘‘সূর্যমুখী বীজের মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তা ছাড়াও এগুলি খুবই সুস্বাদু। স্যালাড এবং দইয়ের উপর ছড়িয়ে দিলে খুব ভাল লাগে খেতে। সূর্যমুখী বীজ পুষ্টিতে ভরপুর। এগুলিতে অন্যান্য বীজের তুলনায় কিছু ভিটামিন, খনিজ এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি পরিমাণে রয়েছে।’’ কালবার্টসন সূর্যমুখী বীজের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা জানিয়েছেন।
সূর্যমুখী বীজের পুষ্টি উপাদান রক্তচাপ, সুগার এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই পুষ্টি উপাদান একটি সুস্থ এবং শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম তৈরি করতে পারে।
সূর্যমুখী বীজের পুষ্টি উপাদান এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে প্রায় ১৫ শতাংশ। সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে এই বীজের উপকারিতা অঢেল।
এই ফুলের বীজ আপনার ডায়েটে রাখলে শরীরে শক্তির মাত্রা বজায় থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে এবং শক্তিশালী পাচনতন্ত্রের জন্য প্রতিদিন ৩০ গ্রাম সূর্যমুখী বীজ খেতে পারেন।
সূর্যমুখী বীজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তি জোগায়। ভিটামিন-ই এবং প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই বীজে। গবেষণায় বলা হয়েছে।
গবেষণায় লক্ষ্য করা গিয়েছে, সূর্যমুখীর বীজ ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিএমআই, কোলেস্টেরল, এলডিএল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে এই ফুলের বীজ।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে সূর্যমুখীর বীজ। এই বীজের যে পুষ্টিগুণ রয়েছে, সেগুলির প্রভাবে কোষগুলি অক্ষত থাকে।
সূর্যমুখী বীজ সুগারের মাত্রা বজায় রাখে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এই খাবার খাদ্যতালিকায় যোগ করা দরকার বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। একটি বিশেষ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রোজ যদি সূর্যমুখীর বীজ খাওয়া যায়, তা হলে মানুষের শরীরে সুগারের মাত্রা কমতে পারে প্রায় ১০%।
কেবল স্বাস্থ্য উপকারিতা নয়, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধিতেও সূর্যমুখীর বীজের অবদান অপরিসীম। এতে রয়েছে ভিটামিন-ই, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ভিটামিন-ই আপনার ত্বকের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।







