Racheal Kaur- The Super Mom/ রেচেল কৌর- দ্যা সুপার মম

0

জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী।’ মা তাঁর সন্তানের জন্য কীই না করতে পারেন! তা যে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এবার সামনে এল এক ‘সুপার মম’- এর কাহিনি। কথা হচ্ছে রেচেল কৌরের, যাঁর দৈনন্দিন কর্মস্থানে পৌঁছানোর লড়াই তাঁকে আলাদা করে বাকিদের থেকে। 

সম্প্রতি, একটি সাক্ষাৎকারে রেচেল কৌর জানান, তাঁর প্রত্যেকদিনের লড়াইয়ের কথা। কর্মস্থানে সময়ের মধ্যে পৌঁছানোর জন্য বাকি যাত্রীরা কি করে থাকেন? বাস, ট্রেন, অটো বা নিজের গাড়ি থাকলে, সেই গাড়িতে করেই বেশিরভাগ মানুষ নিজেদের কর্ম ক্ষেত্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কৌরের যাত্রা পথে রয়েছে একাধিক নিরাপত্তার বেড়াজাল, মানচিত্রের এপার-ওপার, বিমানবন্দর এবং উড়োজাহাজ।

প্রতিদিন প্রায়ে ৭০০ কিমি যাত্রা করেন এই মহিলা। জানা গিয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নারী দুই সন্তানের মা। বড় সন্তানের বয়স ১২ এবং ছোট মেয়ের বয়স ১১। তবে কি সন্তানদের জন্যই এই দুর্গম পথ বেছে নেওয়া? মহিলার দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপ শুনলে অবাক হবেন আপনিও। ভোর ৪টের সময় ঘুম থেকে ওঠেন, তারপর ভোর ৫ থেকে শুরু হয়ে কাজে বেরনোর প্রস্তুতি। মালয়েশিয়ার পেনাং বন্দরে পৌঁছে সকাল ৬:৩০টার ফ্লাইট ধরে পৌঁছান কুয়ালালামপুরে। ৭:৪৫-এর মধ্যে মালয়েশিয়ার একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্ত অফিসে পৌঁছে, ৮টার মধ্যে কাজ শেষ করেন তিনি। 

রেচেল এর মতে, বাচ্চাদের বাড়ন্ত বয়সে মায়ের উপস্থিতি অপরিহার্য। তাই এই পথ বেছে নেওয়া, যাতে কাজের শেষে রাতে বাড়ি ফিরে সন্তানদের দেখতে পারেন তিনি। মালয়েশিয়াতে কর্মরত এই মহিলা জানান, প্রথম দিকে একটি বাড়ি ভাড়া করে সেখানে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সপ্তাহে একবার বাড়ি ফিরতেন। তবে সন্তানদের থেকে দূরে থাকার বিষয়টা আরও জটিল করে দিচ্ছিল কর্ম এবং ব্যক্তিগত জীবনকে। 

অপারগ হয়ে ২০২৪ সালে এই মহিলা সিদ্ধান্ত নেন, সন্তানদের থেকে দূরে থাকবেন না। এবং কাজও ছাড়বেন না। ওঁর মতে, এই পথটি বেশি সময়সাপেক্ষ এবং সস্তার। তার পাশাপাশি কর্ম এবং ব্যক্তিগত জীবন সমান ভাবে বজায় রাখতে পারছেন তিনি। কৌর জানান, আগে প্রত্যেক সপ্তাহে তাঁর খরচ হল ৪১,০০০ টাকা, যা এখন কমে হয়েছে ২৭,০০০ টাকা। 

এই ব্যস্ত জীবনে কীভাবে নিজেকে সময় দেন কৌর? মহিলা জানান, আকাশ পথে যাত্রা করার সময় গান শুনে, প্রকৃতি উপভোগ করে, অফিসের বাইরে ৫-১০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে নিজের ‘মি টাইম’ কাটান রেচেল। বাড়ি থেকে কাজ করার চেয়ে কর্মস্থানে এসে কাজ করলে আরও বেশি ভাল কাজ হয় বলে মনে করেন রেচেল। তাছাড়া বাকি সহকর্মীদের থেকেও অনেক সাহায্য পান তিনি।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *