আর বানাবেন না সিনেমা! টলিপাড়া থেকে অবসর নিচ্ছেন সুব্রত সেন
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: গত বছর থেকে কম ঝড় ঝাপটার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি টলিউডকে। ফেডারেশন বনাম পরিচালক গিল্ডের মতানৈক্য এখনও জারি। শুটিং সংক্রান্ত বহু ক্ষেত্রেই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন পরিচালকরা। এরই মাঝে হঠাৎ করেই অবসরের সিদ্ধান্ত ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুব্রত সেনের। সমাজমাধ্যমে লিখলেন, ‘এ বার অবসর নেওয়ার সময় এসেছে।’ কেন এমন সিদ্ধান্ত?
শনিবার রাতে পরিচালকের পোস্টে ঘনিয়েছে ধোঁয়াশা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “অনেকে জানেন না। ‘ফিল্মওয়ালা’ আমার কোম্পানি নয়। ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়াকার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া এ নিয়ে আমাকে অনেক কিছু বলেছে। ডিরেক্টর কী করে মালিক হয়? সঙ্গত প্রশ্ন। ব্যাপারটা হচ্ছে, ‘ফিল্মওয়ালা’র মালিক আমি নই। এটা একটি পার্টনারশিপ। সেটি আমাদের স্টুডিওতে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের সকলের। অনেকটা সমবায়ের মতো। আমাদের এখানে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা প্রত্যেকে মালিক, প্রত্যেকে মেম্বার। আট জন।”
পরিচালক সুব্রত সেনের দাবি, ‘ফিল্মওয়ালা’র সঙ্গে যুক্ত থাকার দরুণ একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। সেই সব কিছুই তিনি খোলসা করেছেন তাঁর পোস্টে। তিনি আরও লেখেন, “প্রশ্ন আমাকে নিয়ে। আমি নাকি ডিরেক্টর এবং মালিক। যা নাকি পরস্পরবিরোধী। ডিরেক্টর যদি মালিক হয় তা হলে কী হবে? এই প্রশ্ন যশ চোপড়া, রাজ কাপুর, দেব আনন্দ, স্পিলবার্গ, নোলান, সৃজিত মুখার্জি, অরিন্দম শীল, এদের বিরুদ্ধে না করে কেন আমারই বিরুদ্ধে করা হচ্ছে, তা তাঁরাই বলবেন। যাই হোক, আগামী ৩০ এপ্রিল, শুভ অক্ষয় তৃতীয়া থেকে আমি ‘ফিল্মওয়ালা’তে আর থাকছি না। অন্তত ‘মালিক’ আর থাকছি না। সই-সাবুদের কাগজ রেডি হয়ে যাবে কাল পরশুর মধ্যে। এর পর থেকে আমি মালিক নই, ‘খোকা’ হয়েই থাকব। এবার রিটায়ার করার সময় এসেছে। ‘ফিল্মওয়ালা’ থেকে শুধু নয়, ইন্ডাস্ট্রি থেকেই। অন্য কিছু করে নেব, এইটুকু বিদ্যেবুদ্ধি আছে। না খেতে পেয়ে মরব না, কারও কাছে হাতও পাততে হবে না। আমি না থাকলেও ‘ফিল্মওয়ালা’ থাকবে।”