অনভিজ্ঞ দল নিয়েও অভিজ্ঞ কেরালাকে বিদায় করে সুপার কাপের সেমিতে মোহনবাগান

0

স্পোর্টস ডেস্ক: দেখলে বোঝা মুশকিল, এটা নাকি বাগানের দ্বিতীয় সারির দল! যে কেরালা ব্লাস্টার্স হেলায় হারিয়ে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে, সেই কেরালাকেই বিদায় করে দিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মোহনবাগান। তাও আবার অনভিজ্ঞদের নিয়ে গড়া দল মাঠে নামিয়ে। শনিবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে কলিঙ্গ সুপার কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তারা ফর্মে থাকা কেরালা ব্লাস্টার্সকে ২-১-এ হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে পড়ল। এ দিন কেরালার দলকে হারাতে সেই রাজ্যেরই দুই ফুটবলারের ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সহাল আব্দুল সামাদ ও আশিক কুরুনিয়ানের দাপটে এ দিন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ব্লাস্টার্সের রক্ষণ। ২১ মিনিটের মাথায় সহালের গোলে এগিয়ে যায় আইএসএলের জোড়া খেতাবজয়ীরা। ৫১ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়িয়ে নেন সুহেল ভাট, যাঁকে মাপা ক্রস দিয়ে প্রায় গোল সাজিয়ে দেন আশিক। ম্যাচের শেষ দিকে সংযুক্ত সময়ে একটি গোল শোধ করেন পরিবর্ত ফরোয়ার্ড শ্রীকুট্টন এমএস। এদিন আক্রমণ, মাঝমাঠ ও রক্ষণ, কোনও বিভাগেই ছন্দ বজায় রাখতে পারেননি নোয়া সাদাউই, জেসুস জিমিনিজরা। প্রতিপক্ষের সুপরিকল্পিত ফুটবলের সামনে প্রায় আত্মসমর্পণ করতে দেখা যায় তাদের। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এ দিন প্রথম এগারোয় আইএসএলের দলে থাকা সাতজনকে মাঠে নামিয়েছিল। এঁদের বেশিরভাগকেই অবশ্য রিজার্ভ বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে।

বাকিরা যুব দলের। কিন্তু উজ্জীবিত ফুটবল খেলে এই সুযোগ ভরপুর কাজে লাগান তাঁরা। সুপরিকল্পিত ফুটবল খেলে কলিঙ্গ সুপার কাপের শেষ চারে পৌঁছে এ বার তাদের সামনে হয় এফসি গোয়া, নয় পাঞ্জাব এফসি। ম্যাচের পরে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের গর্বিত কোচ বাস্তব রায় বলেন, ‘আমাদের ছেলেরা আবার একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পেল, এটাই সবচেয়ে ভাল। আমাদের সিনিয়ররা ওদের খুব ভাল সাপোর্ট করেছে। জুনিয়ররাও যথেষ্ট মানসিক শক্তি নিয়ে খেলেছে। ওরা নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছে। সে জন্যই দু’গোল করে জিততে পারলাম আমরা’।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *