ফের আইপিএলে বন্ধ থাক স্বল্পবসনাদের নাচ, ডিজের চিৎকার, অনুরোধ গাভাসকরের
স্পোর্টস ডেস্ক: ফের শুরু হচ্ছে আইপিএল। একেবারে নিউ নর্ম্যাল আবহে। তবে খেলার সঙ্গে আর বিনোদন চাইছেন না খোদ সুনীল গাভাসকর। তিনি আইপিএল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধও করেন, দেশের যা পরিস্থিতি তাতে খেলা হলেও যেন বন্ধ থাকে চিয়ারলিডারদের নাচ, ডিজের চিৎকার, আতশবাজির ফোয়ারা। তারজন্য যুক্তিও দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গাভাসকার বলেন, ‘আশা করছি, আমার এই অনুরোধ গুরুত্ব সহকারে বিচার করা হবে। কারণ সাম্প্রতিক ঘটনায় বহু পরিবারই তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। আর এই কথাটা মাথায় রেখেই ম্যাচ চলাকালীন যাবতীয় বিনোদন বন্ধ করে দেওয়া হোক।’
তিনি এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আরও বলেন, ‘আপাতত শুধুমাত্র ম্যাচটুকু কোনওক্রমে খেলা হোক। মাঠে দর্শক আসুক। কিন্তু, কোনও গান বাজানো যাবে না। প্রত্যেক ওভারের মাঝখানে ডিজে’দের চিৎকার বন্ধ করা হোক। শুধুমাত্র খেলাটুকু যেন আয়োজন করা হয়। না কোনও লাস্যময়ী নাচ, না অন্যকিছু। শুধুমাত্র ক্রিকেট। আর এভাবেই আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান জানাতে পারি।’ প্রসঙ্গত, গত সোমবারই ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড ঘোষণা করে দিয়েছে যে আগামী ১৭ মে থেকে দেশের মোট ৬ ভেন্যুতে লিগ পর্যায়ের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে। আগামী ৩ জুন আয়োজন করা হবে আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচ। পহেলগাঁওয়ের মর্মান্তিক ঘটনাকে মাথায় রেখে এর আগেই বিসিসিআই কালো আর্মব্যান্ড পরার নির্দেশ দিয়েছিল আইপিএলে। শেষ কয়েকটা ম্যাচে নীরবতা পালন সহ দেশের সেনাদের পরাক্রমকে শ্রদ্ধাও জানানো হয়।
বন্ধ রাখা হয় আতশবাজিও। মুম্বই বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচে বন্ধ রাখা হয় চিয়ারলিডারদের নাচও। ইডেনে কেকেআর-সিএসকে ম্যাচ শুরুর আগে দুই দল ভারতীয় সেনাকে স্যালুট জানিয়েছিল। জাতীয় সঙ্গীতে গলা মিলিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটাররা, সেইসঙ্গে দর্শকরাও। আসলে, আইপিএল মানেই বিনোদন। দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে আয়োজক সংস্থা ম্যাচের আগে, পরে এবং বিশেষ ঘটনায় আতসবাজির প্রদর্শনী করে। এছাড়াও চলে লেজার শো। এসব আর হবে কিনা তা নিয়ে অবশ্য সিদ্ধান্ত জানায়নি বিসিসিআই বা আইপিএল কর্তৃপক্ষ। অপারেশন সিঁদুরের পর প্রায় ৯ দিন বন্ধ থাকার পর কীভাবে আইপিএল শুরু হয় সেদিকেই তাকিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা।