‘কোনও ছবির প্রিমিয়ারে আর যাব না’, ছবির প্রচারের মাঝেই হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত স্বস্তিকার?

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: তাঁর নতুন ছবি ‘দুর্গাপুর জংশন’। তারই প্রচার নিয়ে ইদানীং ব্যস্ত নায়িকা। কথা হচ্ছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে। গত বুধবারই ছিল ছবির প্রিমিয়ার। আর ঠিক তার পরের দিনই সমাজমাধ্যমে জ্বলজ্বল করছে অভিনেত্রীর পোস্ট। লিখলেন, ‘আমি আর কোনও ছবির প্রিমিয়ারে যাব না।’ কিন্তু কেন? হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত স্বস্তিকার? কারণ খোলসা করলেন নিজেই।

তিনি লেখেন, ‘প্রিমিয়ারে ভিড় বা তারপরের দিন কাগজে কভারেজ দেখে বা তৎক্ষণাৎ সামাজিকমাধ্যমে রিলস দেখে, সিনেমাটা দেখব কি না এটা কোনও দর্শক নির্ধারণ করেন না। তাঁরা নির্ধারণ করেন ছবির টিজার, ট্রেলার, পোস্টার দেখে, বা যদি ছবির কলাকুশলী দেখে তাঁদের সিনেমাটা দেখতে ইচ্ছে করে। আমরা যথেষ্ট প্রচার করি। সেটা মানুষ কে জানান দেওয়ার জন্যই যে এই কাজটা আসছে।’ পাশাপাশি তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন যে ছবির প্রিমিয়ারে ডান পান না নেপথ্যের মানুষগুলি।

অভিনেত্রী লেখেন, ‘অর্ধেক সময়েই ক্রিউ মেম্বারদের ডাকা হয় না। যে প্রোডাকশন দাদারা সর্বক্ষণ মুখের কাছে জল, চা, খাবার ধরলেন। গরমের দিনে গ্লুকোজ গুলে নিয়ে এলেন, মাঝ রাতে পানীয় আনতে ছুটলেন, তাঁকে প্রিমিয়ারে নেমন্তন্ন করাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। বাবার সঙ্গে বাবার অনেক ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে গেছি। ‘টগরী’ দেখতে গিয়েছিলাম নবীনা প্রেক্ষাগৃহে। বাবা (সন্তু মুখোপাধ্যায়) এবং সন্ধ্যা রায় ছিলেন সেই ছবিতে। সেখানে সকল কাস্ট, ক্রিউকেও ডাকা হত। পরিচালক থেকে হিরো এবং যে জামাকাপড় ইস্তিরি করেছেন তাঁকেও। শুধু দেখনদারীতে এসে ঠেকেছে সব। এক রাশ বিরক্তি নিয়ে বাড়ি ফেরার চেয়ে পরে না হয় টিকিট কেটে দেখে নেব। এমনিও অন্যদের সিনেমা টিকিট কেটেই দেখি। এবার থেকে নিজেরটাও তাই করব।’

স্বস্তিকা আরও লেখেন, ‘সবার হাতে ফোন। সমস্ত ফুটেজ ওই ফোন এই তোলা হচ্ছে। কে আসলে মিডিয়া, আর কে ব্লগার, ইনফ্লুয়েন্সার, ভ্লগার, বোঝার উপায় নেই। কেনই বা তাদের কে বাইট দেবো বা তাদের ফোন এ বন্দি হব জানি না। হঠাৎ করে এই শহরে সবাই পাপারাজ্জি। আর কোনও ব্যবস্থা নেই। কোনও নির্ধারিত জায়গা নেই যেখানে মোবাইল হাতে ফটোগ্রাফাররা দাঁড়াবেন। সবাই গায়ের ওপর উঠে পড়ে, পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে দিতে পারলেই ব্যস! বেস্ট রিলটা বানিয়ে ফেলবে। আমার ছবি তুলতে গিয়ে সেদিন ট্রেলার লঞ্চে কেউ একটা আমাকেই ধাক্কা মেরে ফেলে দিল। এত ঠ্যালাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি পোষায় না। আমি বাউন্সার নিয়ে ঘুরতে অক্ষম। সক্ষম হতে চাই না। রাস্তা ঘাটে শুটিং করতে লাগে ঠিকই কিন্তু তার বাইরে নিজের সিনেমা দেখতে গিয়ে যদি পেছনে বাউন্সার নিয়ে যেতে হয় কারণ মানুষ গায়ে উঠে পড়বেই, তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভালো।’

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *