বৃষ্টি, দুর্যোগ, বিপর্যয় —তবুও ‘শো মাস্ট গো অন’! শ্যুটিং চললেও পুজোর আগে মন খারাপ অভিনেত্রীর
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: পুজোর আগে মন খারাপ। শহরে জল থই থই। রাস্তার যা পরিস্থিতি, তা দেখে সত্যিই খারাপ লাগছিল অভিনেত্রী শার্লি মোদকের। দাসানি-১ স্টুডিয়োতে চলছে ধারাবাহিকের শ্যুটিং।
আডিশনকে তিনি বলেন, “রাস্তার যা অবস্থা সেটা দেখে সত্যিই খারাপ লাগল। এটা একদমই প্রত্যাশিত ছিল না পুজোর আগে। অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পুজোর মণ্ডপ থেকে শুরু করে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যাদের ঘর নিচুতে, তাদেরও সমস্যা হয়েছে। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সবার জন্যই পরিস্থিতিটা খারাপ। আমার নিজের গাড়ির ভেতরও জল ঢুকে যায়। বেরোতেই পারিনি। শেষমেশ প্রোডাকশন থেকে গাড়ি পাঠানো হয়।”
একই ছবি শহরের আরও অনেক কোণে। দোকানপাট, বাজার, পুজো মণ্ডপ—সব জায়গায় ক্ষতির হিসেব বাড়ছে। তার উপর পরিবহণে টান। ট্যাক্সি নেই, ক্যাব নেই। যাঁরা রোজগারের টানে বেরোতে বাধ্য, তাঁদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
তবুও শার্লির কাজ থেমে নেই। “আমাদের তো শুটিং চলতেই হবে। ‘শো মাস্ট গো অন’—এরকম একটা ব্যাপার আছে”, বললেন অভিনেত্রী।
তবে এই অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে নতুন। ছোটবেলায় জলপাইগুড়িতে বর্ষায় নদীর জলে স্কুল ভেসে যাওয়ার স্মৃতি রয়েছে বটে, কিন্তু কলকাতায় এরকম বিপর্যয় তিনি আগে দেখেননি।
বৃষ্টি ভালবাসলেও রাতের বৃষ্টির এমন রূপ দেখতে চাননি শার্লি। আগের দিন রাতে যখন বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, তখন রাস্তার উপর ছিলেন তিনি। তিনি বললেন, “ প্রথম যখন বৃষ্টি হচ্ছিল আমি আর অভিষেক ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে গেছিলাম। তারপরে কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়িতে ফিরে আসতে হয়েছে কারণ সকালে শুটিং রয়েছে বলে। ফিরে এসে, রাতের খাবার করার পরেও দেখছি অঝরে বৃষ্টি পড়ছে। তখন অব্দিও বিষয়টা আমরা খুব উপভোগ করছিলাম কারণ জানি যে আধাঘণ্টার মধ্যে নিশ্চয়ই কমে যাবে, যা হয় কলকাতায়। তখন তো উপভোগ করছিলাম, বেশ ভালোই লাগে বৃষ্টি, কিন্তু সকালে ঘুম ভেঙে উঠে শুনতে পাচ্ছি আমাদের গাড়ির ভেতর অব্দি বৃষ্টির জল ঢুকে গেছে।”
শহরের এই অবস্থা দেখে ভারাক্রান্ত শার্লি। পুজোর আগে এমন অস্বস্তির আবহ কারও কাম্য নয়। শিল্পী থেকে ব্যবসায়ী—সবাই ক্ষতির মুখে।
