অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্যলগ্নে প্রথম প্রভু-দর্শন, দিঘার জগন্নাথ ধামে কারা গেলেন

0

দিঘায় জগন্নাথ ধাম। অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্যলগ্নে উড়ল ধ্বজা। হল মন্দিরের দ্বারোদঘাটন। প্রথমবার দেখা গেল জগন্নাথদেবের বিগ্রহ। অক্ষয়তৃতীয়ার দুপুরেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত তিনদিন ধরেই এই উপলক্ষ্যে চলেছে যজ্ঞ-আয়োজন। সকাল ১১টা ১০ থেকে ১১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়। জগন্নাথের উদ্দেশে প্রথম সন্ধ্যারতিও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার থেকেই দর্শনার্থীদের খুলে গেছে এই মন্দির। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমি মনে করি, এই মন্দির আগামী হাজার হাজার বছর ধরে তীর্থস্থান ও পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে থাকবে। মন্দির সকলের জন্য। আজ থেকেই তার দ্বার খুলে দেওয়া হল। সবারে করি আহ্বান…৷’ দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দায়িত্বে রয়েছে ইসকন। ছিলেন ইসকনের রাধারমণ দাস এবং আরও ৫৭ জন সেবক ও ১৭ জন সন্ন্যাসী। যজ্ঞে মোট এক কোটিবার নরসিংহ মন্ত্র পাঠ করা হয়। ইসকন কর্তৃপক্ষের হাতে সোনার ঝাড়ু তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দিরে আরতি করার পর সেই ঝাড়ুটি তিনি রাধারমণ দাসের হাতে তুলে দেন। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে রথযাত্রার সময় সোনার ঝাড়ু দিয়েই শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের যাত্রাপথ পরিস্কার করার রীতি প্রচলিত। দিঘাতেও তাই হবে। উদ্বোধনের দিন মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সেখানেও চাঁদের হাটে মুখ্য ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন নচিকেতা চক্রবর্তী, অদিতি মুন্সি,ইমন চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীল সেন। ছিলেন টলিউডের একঝাঁক শিল্পী। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, জুন মালিয়া, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবলীনা কুমার, লাভলি মৈত্র সবাই হাজির।

আছেন কবি, সাহিত্যিক, ক্রীড়াবিদ এবং শিল্প-সংস্কৃতির বহু বিশিষ্টজন। মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত যেমন হাজির হয়েছিলেন। তেমনই ছিলেন বাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসুও। এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার, আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, সচিব অনির্বাণ দত্তরাও। রাজনৈতিক নেতারাও হাজির হয়েছিলেন এই উদ্বোধনে। সবাইকে চমক দিয়ে হাজির হন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। দেখা যায় তাঁর স্ত্রী রিঙ্কুকেও। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক যে সময়ে দিঘায় পৌঁছেছিলেন সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্দির চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যান। তবে পরবর্তী সময়ে মন্দির চত্বরের অতিথিশালায় মমতা-দিলীপকে একসঙ্গে দেখাও যায়।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘জয় জগন্নাথ-জয় বাংলা বলে এই জগন্নাথ দেবের মন্দির মা-মাটি-মানুষকে উৎসর্গ করলাম ।’

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *