শুভমনদের দাপটে জয়ের দিশাই খুঁজে পেলেন না রাহানে ব্রিগেড
অ্যাওয়ে ম্যাচে হার, এরপর ঘরের মাঠেও হার। গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলের একেবারে যেন অচেনা রূপ। স্ট্র্যাটেজিতেও ভুল, মানসিকতাতেও যেন দুর্বল। এবার প্লে অফে যাওয়াই যেন কঠিন হয়ে ঊঠল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। একপেশে ম্যাচে ৩৯ রানে জয় পেল গুজরাট টাইটান্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৮ রান তোলে গুজরাট। তাতে কেকেআর তোলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান। ইডেনে কেকেআরের বিরুদ্ধে অপরাজেয় থাকল গুজরাট টাইটান্স। ২০২৩ সালের পর ফের এই জয়। গুজরাট টাইটান্স ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রাখল। কলকাতা নাইট রাইডার্স সেখানে সাতে রইল ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে।
শুভমন গিলকে ছেড়ে দিয়েছিল কলকাতা। সেই গিলই ১০ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করলেন। টস জিতে কলকাতা নাইট রাইডার্স ব্যাট করতে পাঠায় গুজরাট টাইটান্সকে। কেকেআর অধিনায়ক অজিঙ্কা টস জিতে ব্যাটিং না নিয়ে যে ভুল করেছেন, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন গুজরাট টাইটান্সের ওপেনিং জুটি। ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৭৫ বলে ১১৪ রান তোলেন শুভমন গিল ও সুদর্শন। ৩৬ বলে ৫২ রানের (৬ চার ১ ছক্কা) মারকুটে ইনিংস খেলে সুদর্শন আউট হলে জুটি ভাঙে। চলতি আইপিএলে প্রথম ব্যাটার হিসেবে এদিন চারশোর গণ্ডি টপকে কমলা টুপির দখল নেন সাই সুদর্শন।
চলতি আইপিএলে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীদের তালিকার তিনে উঠে এলেন জস বাটলার (৮ ম্যাচে ৩৫৬ রান)। দ্বিতীয় উইকেটে বাটলারকে নিয়ে ৩৩ বলে ৫৮ রানের জুটি করেন গিল। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৫৫ বলে ৯০ রান (১০ চার ৩ ছক্কায়) করে সাজঘরে ফেরত যান গুজরাট অধিনায়ক। শেষদিকে রান বাড়িয়ে নিতে অবদান রাখেন বাটলার। ২৩ বলে অপরাজিত ৪১ রান করেন ডানহাতি ইংলিশ ব্যাটার। ৫ বলে ১১ রানের অবদান শাহরুখ খানের। কলকাতার হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন বৈভব অরোরা, আন্দ্রে রাসেল ও হর্ষিত রানা।
জবাবে পাওয়ারপ্লের প্রথম ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে কেকেআর ৪৫ রান তোলে। ৭ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে কেকেআর ৬৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি, হারায় আরও ২ উইকেট। কুইন্টন ডি ককের জায়গায় সুযোগ পেলেও ব্যর্থ রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ওপেনার গুরবাজ প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন। তিনি করেন ৪ বলে ১। সুনীল নারিন ১৩ বলে ১৭, ভেঙ্কটেশ আইয়ার ১৯ বলে ১৪, আন্দ্রে রাসেল ১৫ বলে ২১, রামনদীপ সিং ২ বলে ১, মঈন আলি ২ বলে শূন্য রানে আউট হন। কেকেআর অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে ৩৬ বলে সর্বাধিক ৫০ রান করে আউট হন। রাহানে পাঁচটি চার ও ১টি ছয় মারেন। রাসেলের ইনিংসে রয়েছে তিনটি চার ও ১টি ছয়। জঘন্য ব্যাটিংয়ে কখনও কেকেআর এদিন চ্যালেঞ্জই ছুড়তে পারেনি গুজরাটের বোলারদের উপর। রিঙ্কু সিং পাঁচে নেমেছিলেন। তাঁকে শেষ ওভারে আউট করলেন ইশান্ত শর্মা। রিঙ্কু ১৪ বলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। তিনটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে রঘুবংশী ১৩ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। হর্ষিত রানা ২ বলে ১ রানে অপরাজিত থাকেন।
About The Author
