রাগ না হিংসে! আয়োজক দেশই নেই পুরস্কার মঞ্চে! ভারত পেল কোটি কোটি টাকা

১৯৯৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। এরপর গত ২৯ বছরে আর কোনো ওয়ানডে বিশ্বকাপ তো বটেই, আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টই আয়োজন করতে পারেনি তারা। ছেলেদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়েছে ৭ বার, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ৯ বার, ৯ বার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও। একই সময়ে মেয়েদের ক্রিকেটে ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়েছে ৭ বার, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ৯ বার। এবার শিকে ছিঁড়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা হয়ে দাঁড়ায় হাইব্রিড মডেল। ভারত সব ম্যাচ খেলে ফাইনালে পৌঁছয়। পাকিস্তান গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেয়। ভারত নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ট্রফি জেতে। কিন্তু দুবাইয়ের পুরস্কার মঞ্চে ছিলেন না কোনও পাক কর্তা! অথচ পাকিস্তানই আয়োজক। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার হাতে ট্রফি তুলে দেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনিও। কেন পিসিবির কেউ নেই? উঠেছে প্রশ্ন। রাগ না হিংসে! প্রশ্ন তুলেছেন সেই দেশেরই প্রাক্তন কিংবদন্তি স্পিড স্টার শোয়েব আখতার। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে নিয়েছে। কিন্তু আমি একটা অদ্ভুত জিনিস দেখলাম, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কেউ এখানে নেই। অথচ পাকিস্তানই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক। কেউ কোনও ট্রফি দিতে এল না? কেন কেউ এখানে উপস্থিত নেই? এটা নিয়ে ভাবা উচিত’। এরপর তিনি বলেন, ‘এটা একটা আন্তর্জাতিক মঞ্চ। এখানে আসা উচিত ছিল।’
একনজরে দেখে নিন কে কত টাকার পুরস্কার পেল
চ্যাম্পিয়ন:- ভারত ( ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৯ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা)।
রানার্স:- নিউজিল্যান্ড ( ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা)।
ফাইনালের সেরা: রোহিত শর্মা (৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৮৩ বলে ৭৬ রান)।
টুর্নামেন্টের সেরা:- রাচিন রবীন্দ্র (৪ ম্যাচে ২৬৩ রান ও ৩টি উইকেট)।
গোল্ডেন ব্যাট (সব থেকে বেশি রান): রাচিন রবীন্দ্র (৪ ম্যাচে ২৬৩ রান, ২টি হাফ-সেঞ্চুরি)।
গোল্ডেন বল (সব থেকে বেশি উইকেট): ম্যাট হেনরি (৪টি ম্যাচে ১০টি উইকেট)।
না, এখানেই শেষ নয়। ভারত গ্রুপ লিগের ৩টি ম্যাচ জেতায় আয় করে বাড়তি প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার ১ কোটি ৮ লক্ষ পায় টিম ইন্ডিয়া।