ভারতের জয়ে মহা খুশি সৌরভ, কেন তা খোলসা করলেন ট্যুইটে

৪ উইকেটে জয়ের বদলা ৪ উইকেটেই। মাঝে শুধু দু’যুগ কেটে গেছে। ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিম মুখোমুখি হয়েছিল স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের দলের। কিউয়িরা ২ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে ফাইনাল জিতে নেয়।আর এবার ভারত ৬ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জিতল। সেই ম্যাচে সৌরভ গাঙ্গুলী ১১৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেললেও ভারত ট্রফি জিততে পারেনি। সেই ক্ষত যেন জুড়িয়ে দিলেন রোহিত শর্মা। ফাইনালে সেঞ্চুরি অবধি অবশ্য পৌঁছতে পারেননি রোহিত। তবে ভারতের দ্বিতীয় ক্যাপ্টেন হিসেবে হাফসেঞ্চুরির মালিক হলেন রোহিত। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে চতুর্থ ক্যাপ্টেন হিসেবে ফাইনালে হাফসেঞ্চুরি করলেন রোহিত। এই তালিকায় তাঁর আগে রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সনৎ জয়সূর্য, হ্যান্সি ক্রোনিয়ে। সৌরভ সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘কী অসাধারণ ভারত! গত দু’বছরে বিশ্ব টুর্নামেন্টে অরসাধারণ পারফরমেন্স। দলের অসম্ভব গভীরতা। সবাইকে অভিনন্দন। অধিনায়ক রোহিত অনবদ্য’। পাশাপাশি টিম ইন্ডিয়াকে অভিনন্দন জানান কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকরও।

ভারতীয় দল সর্বাধিক ৩ বার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের রেকর্ড গড়ল, পিছনে ফেলল অস্ট্রেলিয়াকে (২ বার বিজয়ী)। তাতে উচ্ছ্বসিত যেমন দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত। সমাজমাধ্যমে শুভেচ্ছায় ভাসিয়েছেন সকলেই। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু লেখেন, ‘একমাত্র দল হিসেবে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতল ভারত। ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, টিম ম্যানেজমেন্টের সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়া উচিত।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, ‘আমাদের ক্রিকেট দল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতায় গর্বিত। গোটা প্রতিযোগিতা তারা অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে। আমাদের দলকে অভিনন্দন’। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে আমাদের ছেলেরা নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করল। দুর্দান্ত ভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। আর তাতেই আমরা ট্রফি জিতলাম। ভারতীয়দের জন্য ভীষণ গর্বের একটা সন্ধে।’

ট্রফি জয় ও ম্যাচসেরা হওয়ার পর রোহিত বলেন, ‘এটা সত্যিই দারুণ অনুভূতি। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়াটা অসাধারণ।’