‘কৃষভির সঙ্গে আমারও নতুনের সূচনা’, কাঞ্চন ব্যস্ত শুটিংয়ে, নববর্ষের উদযাপন তোলা থাকল শ্রীময়ীর?
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: ঘরে এসেছে নতুন সদস্য। কন্যা কৃষভিকে নিয়েই কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজের নববর্ষ। বিয়ের পরে একসঙ্গে তাঁদের দ্বিতীয় নববর্ষ এটি। তবে কন্যাকে নিয়ে প্রথম। যদিও ঠিক ‘প্রথম’ বলাও ভুল। গত বছর এই সময়ে শ্রীময়ীর গর্ভে ছিল একরত্তি। এ বার নিজ চোখেই চাক্ষুষ করছে সবটা। কেমন কাটছে তাঁর নতুন বছর? আডিশনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল অভিনেত্রীর সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘কৃষভি তো এখন অনেকটাই ছোট, ৬ মাস না হলে ওকে নিয়ে বাইরে বেরবো না। তাই সকালে আমি আর কাঞ্চন গিয়ে পুজো দিয়ে এসেছি কালিঘাটে। ও ইংরেজি নতুন বছর দেখেছে। কিন্তু বাংলা নববর্ষ প্রথম দেখছে। তবে ওর সঙ্গে সঙ্গে যেন আমারও নতুন নববর্ষ! ওর সঙ্গে সব কিছুই আমি নতুন করে শিখছি।”
বাড়ির কনিষ্ঠ সদস্য বলে কথা। কৃষভির জন্য বিশেষ দিনে বিশেষ উপহার না হলে চলে! শ্রীময়ী বলেন, “ওর জন্য জামা কিনেছি। সন্ধেবেলা পরাব সব ওকে। চারটে জামা হয়েছে।” শ্রীময়ী কী উপহার পেলেন কাঞ্চনের থেকে? তিনিই বা কী উপহার দিলেন অভিনেতাকে? তিনি বলেন, “কাঞ্চন কেনাকাটাতে খুব একটা পারদর্শী নয়। আমি ওকে ধুতি-পাঞ্জাবি দিয়েছি। আর আমাকে ও অনেকগুলো শাড়ি কিনে দিয়েছে। মানে আমি কিনে নিয়েছি!” বলেই হাসি… “আর মা-বাবার জন্য তো উপহার রয়েছেই।” বললেন শ্রীময়ী।
তবে জানেন কি, কাঞ্চন-শ্রীময়ীর এই উদযাপন কিন্তু বাড়ির পরিচারিকা থেকে শুরু করে, খুদের ন্যানি, গাড়িচালক-সহ প্রতিটা সদস্যকে ঘিরেই। তিনি বলেন, “আমরা প্রত্যেকবার সকলকেই উপহার দিই। কাঞ্চনের সঙ্গে তো সদ্য বিয়ে হয়েছে, তারও আগে থেকে আমি উপহার দিই। পুজোর সময়ে আর নববর্ষ, এই দুটো উৎসবে ওদের জন্য কিছু করাই যায়। ওদেরও ঠোঁটে তৃপ্তির হাসি খেলে।”
নববর্ষ মানেই তো বাঙালি মেনু। কী কী থাকছে আজ পাতে? শ্রীময়ী বলেন, “আমার বাড়িতে নববর্ষ মানেই বাঙালি পোলাও, পাঁঠার মাংস আর পাতুরি। আর চাটনি, মিষ্টি তো থাকবেই। কিন্তু এ বারে সে সব কিছু করতে পারলাম না।” তা হলে আজকের দিনে কী পরিকল্পনা কাঞ্চন-শ্রীময়ীর? বাইরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া নাকি ঘরোয়া ভাবেই উদযাপন? শ্রীময়ী বলেন, “ভেবেছিলাম বাইরে রেস্তরাঁয় খেতে যাব। কিন্তু রাতে কাঞ্চনের শুটিং রয়েছে। তাই উদযাপনটা তোলা থাক। আগামীকাল সব হবে।”