সুপার কাপে শুরুতেই বিদায় ইস্টবেঙ্গলের, বাগানের সামনে কেরালা

গতবার চ্যাম্পিয়ন। এবার শুরুতেই বিদায়। মশাল জ্বলল না সুপার কাপে। কোয়ার্টার ফাইনালে ডার্বি দেখার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল ফুটবল ভক্তদের। এত অনুশীলন করেও দিশাহীন ফুটবল, উদ্দেশ্যহীন ফুটবলই উপহার দিল লাল হলুদ ব্রিগেড। নোয়া সাদাউইয়ের ম্যাজিকে ২-০ গোলে জিতল কেরালা ব্লাস্টার্স। ফলে শুরুতেই বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল।
কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে প্রথম থেকে দাপট ছিল কেরালারই। রাকিপদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করতে শুরু করেন নোয়া সাদাউই। তবে সাফল্য আসে ম্যাচের ৪১ মিনিটে। বক্সের ভেতরে পরিষ্কার ফাউল করে বসেন আনোয়ার। প্রথম সুযোগে প্রভসুখন গিল সেভ করে দিলেও তিনি গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয়বার পেনাল্টি নিতে বলেন রেফারি। এবার আর কোনও ভুল করেননি গিমেনেজ। প্রথমার্ধে ১ গোলে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে উঠতে পারেননি লাল হলুদের ফুটবলাররা। দিয়ামান্তোকোসও ছিলেন নিষ্প্রভ। এরমধ্যেই ৬৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোল কেরালার।তাতেই আশা নিভে যায় ইস্টবেঙ্গলের। বক্সের বাইরে থেকেই জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন নোয়া। কিছুই করার ছিল না গিলের। এরপর আরও গোল দিতে পারত কেরালা কিন্তু ভাগ্য ভাল অফসাইডের কারণে তা কাউন্ট হয়নি। সুপার কাপ অভিযান শুরুর আগেই ক্লাবে ক্লেটন সিলভা বনাম অস্কার ব্রুজো ঝামেলা চরমে ওঠে। যে কারণে ক্লেটনের সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করে ইস্টবেঙ্গল। এই ক্লেটনের গোলেই গতবার দীর্ঘবছর পর ইস্টবেঙ্গল ট্রফি ঢোকাতে পেরেছিল ক্লাবে। অনেকেই মনে করছেন তারই প্রভাব পড়ল গোটা ব্রিগেডে। আইএসএলে তারা লিগ টেবলে ৯ নম্বরে থেকে অভিযান শেষ করে। এই ব্যর্থতা ভুলতে তাদের সুপার কাপে ভাল পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজো। মেয়েরা মশাল জ্বাললেও, ছেলেদের সেই তাগিদ দেখা গেল না। ব্যর্থতা নিয়েই শেষ হল ইস্টবেঙ্গলের মরশুম। কলিঙ্গ সুপার কাপ ২০২৫-এর চ্যাম্পিয়ন দল ২০২৫–২৬ এএএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ প্লে-অফে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। সেটাও আর সুযোগ পাবে না ইস্টবেঙ্গল। কোয়ার্টার ফাইনালে কেরালা ২৬ এপ্রিল মুখোমুখি হবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের।