শ্রেয়সকে দেখে বন্য উল্লাসে মেতেও হেসে হালকা করলেন বিরাট

বিরাটের অপর নামই যেন আগ্রাসন। মাঠে মজাদার বিরাটকে পাওয়া গেলেও, আগ্রাসী মনোভাব থেকে বেরিয়েই এসেছিলেন কোহলি। রবিবার মুল্লানপুরে আর থাকতে পারলেন না। ম্যাচ জিতিয়েই শ্রেয়স আইয়ারকে দেখিয়ে যেন বন্য উল্লাসে মাতলেন কিং কোহলি। পরে কোহলি অবশ্য হেসে বিষয়টি হালকা করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক মুখ গোমড়াই করে রেখেছিলেন। বিরাটের উচ্ছ্বাস স্বাভাবিক। জ্বালা জুড়িয়েছেন একদিন আগেই হারের। শুক্রবারের বদলা নেন রবিবার। একদিন আগেই ঘরের মাঠে পাঞ্জাব কিংসের কাছে হেরে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলিরা। একদিন পর পাঞ্জাবের ডেরায় এসে জয় ছিনিয়ে নিয়ে প্রতিশোধ নিলেন বিরাট কোহলিরা। বিরাট ব্যাটে ভর করে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় রজত পাতিদারের দল। নিজেদের মাঠে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৭ রানে আটকে যায় পাঞ্জাব। জবাবে ৭ বল আর ৭ উইকেট বাকি থাকতেই লক্ষ্য টপকে গেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকলেন কোহলি, মাঠ ছাড়লেন দলকে জিতিয়েই। অর্ধশতরান করে নতুন রেকর্ডও করেছেন। ৬৭হাফসেঞ্চুরি নিয়ে তিনিই এখন সবার ওপরে। ৬৬ হাফসেঞ্চুরি করা ডেভিড ওয়ার্নার নেমে গেছেন দুইয়ে। ওয়ার্নার আর খেলছেন না। তিনে থাকা শিখর ধাওয়ান (৫৩)ও খেলা ছেড়ে দিয়েছেন। আপাতত তাই বিরাট রাজই শুরু। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে উঠে এসেছে বেঙ্গালুরু, পাঞ্জাব নেমে গেছে চারে। রান রেটে বেঙ্গালুরু এগিয়ে থাকলেও ৮ ম্যাচে ৫ জয়ে দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ১০ করে।
শুরুটা ভালোই করার চেষ্টা করলেও বেশিদূর এগোতে পারেননি পাঞ্জাবের দুই ওপেনার। ১৫ বলে ২২ রানে ফেরেন প্রিয়াংশ। প্রভসিমরন ফেরেন ১৭ বলে ৩৩।

শ্রেয়স আইয়ার (৬) এদিন ব্যর্থ হন। একে একে ফিরে যান নেহাল ওয়াধেরা (৫), জশ ইংলিশ (২৯), মার্কাস স্টয়নিস (১)। একসময় ১১৪ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে চাপেই পড়ে গিয়েছিল। পাঞ্জাবকে ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যান শশাঙ্ক সিং (৩১)। তবে পাঞ্জাবের ইনিংস ১৫৭ রানের বেশি এগোয়নি। ১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফিল সল্টের (১) উইকেট হারায় আরসিবি। কোহলি অবশ্য অটল ছিলেন। তাঁকে সঙ্গ দেন দেবদত্ত পাড্ডিকাল। দু’জনেই নিয়ে যায় জেতার পরিস্থিতিতে। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার দেবদত্ত পাড্ডিকাল ৩৫ বলে ৬১ রান। এরমধ্যে ৫ চার ও ৪ ছয়। অধিনায়ক রজত পাতিদার ১২ রানে ফেরেন। এরপর জিতেশ শর্মাকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন বিরাট কোহলি। ৫৪ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ২০০৮ সালে আইপিএলের শুরু থেকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলছেন কোহলি। এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। এখানে ২৫২ ইনিংসে তার ফিফটি ৫৯টি, সেঞ্চুরি ৮টি, এটাও রেকর্ড।