সন্তানকে ভ্লগে দেখিয়ে রোজগার! ট্রোলের মুখে পড়ে মধুবনী লিখলেন, ‘ওর জন্মানোর আগেই…’

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: একসময় একের পর এক হিট ধারাবাহিকের নায়িকা। টেলিদুনিয়ার বেশ জনপ্রিয় মুখ ছিলেন অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামী। বর্তমানে অবশ্য তিনি ঘোরতর সংস্কারী। কর্মজীবনের মধ্যগগনে থাকাকালীনই সহ-অভিনেতা রাজা গোস্বামীকে বিয়ে করেন তিনি। তারপরেই পর্দা থেকে অনেকটাই দূরে মধুবনী। ছেলে কেশব, ইউটিউবের ব্যবসা, সঙ্গে নিজের সালোঁ- এই সবই নিপুণ হস্তে সামলাচ্ছেন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি এই প্রসঙ্গেই সমাজমাধ্যমে খোলামেলা হন তিনি। লেখেন, সন্তানের মুখ চেয়েই নিজের কর্মজীবনের বড় আত্মত্যাগ করেছেন। ‘বিসর্জন’ দিয়েছেন নিজের উজ্জ্বল অভিনয় জীবনকে। মাতৃত্ব নিয়ে ফলাও পোস্ট করেই বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। ধেয়ে এসেছে নানা কুমন্তব্য। নেটিজেনদের একাংশ লিখেছিলেন, ‘অভিনয় জগৎ থেকে সরে এসে ভ্লগিং শুরু করেছেন। নিজের স্যালন শুরু করেছেন। সেটাও তো উপার্জনের রাস্তা। ওটাকে স্যাক্রিফাইস করা বলে না।’ কারও কারও দাবি ছিল, মধুবনী নাকি তাঁর সন্তানকে ভ্লগে দেখিয়ে রোজগার করছেন।

বিতর্ক বাড়তেই মঙ্গলবার, সর্বসমক্ষে এর কড়া ভাষায় জবাব দিলেন অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে পোস্ট করলেন রাজার সঙ্গে তাঁর কেনা প্রথম ফ্ল্যাটের ছবি। সঙ্গে লিখলেন, ‘বাচ্চা জন্মানোর অনেক আগে থেকেই, বাচ্চার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করে রেখেছে রাজা গোস্বামী এবং মধুবনী গোস্বামী। কথাটা মাথায় রাখবেন।এই যে ছবিটা দেখছেন, ২০১৮- এ অভিনয় থেকে উপার্জিত সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে কেনা। রাজা গোস্বামী এবং মধুবনী গোস্বামীর প্রথম ফ্ল্যাট (এর পর আরও তিনটে ফ্ল্যাট কেনা হয়ে গেছে, ঈশ্বরের আশীর্বাদে)। ২০১৮- এ ভ্লগ বলে কোনও বস্তু ছিল না, আশা করি সেটা মানতে আপনাদের কষ্ট হবে না। বলছি না, বিশাল কিছু একটা করে ফেলেছি। তবে যেটুকু করেছি, অভিনয় করেই করেছি। অভিনয় থেকে উপার্জিত সঞ্চয়ের টাকা থেকেই করেছি। তার মানে কি এই, যে এখন ভ্লগ করে রোজগার করছি না? অবশ্যই করছি।’

তিনি আরও লেখেন, ‘বিশ্বাস করুন, এতটাও ফলাও করতে চাইনি। কিন্তু কিছু মানুষ জনের এমন কথাবার্তা, যে সত্যটা সামনে না এনে পারলাম না। একটা কথা খুব ভালো করে জানবেন, যে আমার এবং রাজার সম্মন্ধে আপনারা সবটা জানেন না। আপনারা শুধু সেটুকুই জানেন, যেটুকু আমরা আপনাদের জানাই। তাই নিজেদের মনগড়া গল্প নিজেদের বন্ধুমহলে আলোচনা করুন। এখানে কিছু বলতে আসবেন না। কারণ আমার কাছে আপনাদের সব জল্পনা নস্যাৎ করার মতো প্রমাণ এবং ফ্যাক্ট, দুটোই আছে। যেমন উদাহরণ স্বরূপ, এই ছবিটা।’

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *