নাদিমকে ভারতে আমন্ত্রণ, নীরজের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই মুখ খুললেন জ্যাভলিন থ্রোয়ার

পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানের কোনও ক্রীড়াবিদের ভারতের কোনও প্রতিযোগিতায় যোগদানের প্রশ্নই ওঠে না বলে জানিয়ে দিলেন ভারতের তারকা জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া। ২৪ মে থেকে বেঙ্গালুরুতে নীরজ চোপড়া ক্লাসিক নামের প্রতিযোগিতা বসছে বেঙ্গালুরুতে। আর সেই প্রতিযোগিতাতেই পাকিস্তানের জ্যাভলিন থ্রোয়ার প্যারিস অলিম্পিকে সোনাজয়ী আরশাদ নাদিমকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নীরজ, তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। শুধু তাই নয়, আরশাদকে আমন্ত্রণ করার পর নীরজের দেশপ্রেম নিয়েও তীর্যক মন্তব্য করেন জনতা। কেন নাদিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তাঁর পরিবারকেও কটু কথা শোনাতে ছাড়েনি নেটদুনিয়া। এই পরিস্থিতিতে অবশেষে নীরজ চোপড়া মুখ খোলেন। নীরজ অবাক হয়ে যান তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়। এরপরই স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, দেশের স্বার্থ সবার আগে। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আরশাদ নাদিমকে এনসি ক্লাসিকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে প্রচুর কথা হচ্ছে। চারিদিকে শুধু ঘৃণা আর কটূক্তি। আমার পরিবারকেও ছাড়া হচ্ছে না। একজন ক্রীড়াবিদ হিসাবে আরশাদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তার চেয়ে বেশি কিছু নয়। আমার লক্ষ্য ছিল এনসি ক্লাসিকের মাধ্যমে বিশ্বের সেরাদের ভারতে আনা। সব ক্রীড়াবিদের কাছে আমন্ত্রণ সোমবার পাঠানো হয়েছিল। পহেলগাম কাণ্ডের আগেই আমন্ত্রণ চলে গিয়েছিল। পরের ৪৮ ঘণ্টায় যা ঘটেছে, তারপর আরশাদের এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ দেশের স্বার্থই সকলের আগে। গোটা দেশের মতোই আমিও দুঃখিত।

আমি এত বছর ধরে দেশকে গর্বিত করেছি। আজ আমার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সেটা দেখে কষ্ট হচ্ছে। আমার মায়ের একটা সামান্য কথা গত বছর খুব প্রশংসিত হয়েছিল, কিন্তু আজ সেই কথাকে হাতিয়ার করেই মা’কে নিশানা করা হচ্ছে’। এর আগে লিখেছেন, ‘আমি খুব কম কথার মানুষ। তার মানে এই নয় যে, কোনও ভুল দেখলে কথা বলব না। আমার দেশপ্রেম এবং পরিবারের সম্মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে মুখ তো খুলবই। আমার কাছে দেশ সব সময় আগে। যে সব মানুষ নিজের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাঁদের সমবেদনা জানাই। পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে, তা নিয়ে গোটা দেশের মতো আমিও শোকাহত এবং ক্ষুব্ধ’। যদিও জানা গেছে, এই টুর্নামেন্ট খেলতে নাদিম আসছেন না।