তিন সন্তানের সঙ্গে হাসিমুখে সেলফি চিকিৎসকের! বিমানের ‘শেষ মুহূর্ত’ বন্দি রইল ফোন ক্যামেরাতেই
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: কেউ ফিরছিলেন বাড়ি, তো কারও গন্তব্য ছিল ভিন দেশ। উদয়পুরের একটি হাসপাতালের চিকিৎসক কোমি ব্যাস তাঁর পরিবারকে নিয়ে উড়ে যাচ্ছিলেন নতুন করে জীবন শুরু করবেন বলে। উড়াণ শুরুর আগে হাসিমুখে ছবিও তুলেছিলেন স্বামী এবং তিন সন্তানের সঙ্গে। তখনই কি জানতেন সেই ক্যামেরাবন্দি মুহূর্তটাই হয়ে থাকবে একমাত্র ‘জীবিত’ মুহূর্ত।
গত বৃহস্পতিবার অহমদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রিবাহী বিমান। এআই১৭১ নম্বরের এই বিমানটি দুপুর ১টা ১০ মিনিটে অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উরাণ নেয়। তার কিছু মুহূর্ত পরেই লোকালয়ের মধ্যে ভেঙে পড়ে সেটি। পাইলট, ক্রু মেম্বার এবং যাত্রী সমেত মোট ২৪২ জন ছিলেন ওই বিমানে। তবে অবিশ্বাস্যভাবে সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে মাত্র একজন বেঁচে ফিরলেও বাকি কোনও প্রাণের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মারা গেলেন কোমি ব্যাস এবং তাঁর পুরো পরিবার। চাকরি ছেড়ে লন্ডন যাচ্ছিলেন বাচ্চাদের নিয়ে। সঙ্গে ছিলেন স্বামীও। লন্ডনে গিয়ে স্বামীর সঙ্গে ডাক্তারির প্র্যাকটিস করার কথা ছিল কোমি-র। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। জানা গিয়েছে, স্বামী প্রতীক যোশী এবং যমজ ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে আমদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়েছিলেন কোমি।
তাঁদের বিমানের ভিতরে বসে থাকা অবস্থারই একটি সেলফি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেই দেখা গিয়েছে, বিমানের একদিকে বসেছেন কোমি এবং প্রতীক। অন্যদিকে রয়েছে তাঁদের তিন ছেলেমেয়ে। গালভর্তি হাসি। চোখে একরাশ স্বপ্ন। লন্ডনে গিয়ে নতুন জীবন শুরুর উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা স্পষ্ট। কিন্তু ভাগ্যের কি অদ্ভুদ পরিহাস! ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার মর্মান্তিক পরিণতির পর শেষ মুহূর্তের সাক্ষী এই ফোনবন্দি ছবিই।
