হাইস্কুলের প্রেম, বিয়ে, দু’দশকের পথচলা! সুখী দাম্পত্যের কোনও ফর্মুলা নেই: অর্জুন
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক:
‘হাতের উপর হাত রাখা খুব সহজ নয়…সারা জীবন বইতে পারা সহজ নয়…’, হাতের উপর হাত রেখেই দিব্যি কাটিয়ে নিলেন নয় বছরের সুখী দাম্পত্যজীবন। তবে একসঙ্গে পথচলা শুরু তারও আগে থেকে। কথা হচ্ছে অর্জুন চক্রবর্তী এবং স্ত্রী সৃজা সেনকে নিয়ে। গত বছরই তাঁদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল টলিউডের অন্দরমহলে। তবে তা তুড়ি মেরে অনেক আগেই একে অপরের প্রতি ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছেন তারকাদম্পতি। এই বিবাহবার্ষিকীতেও এর অন্যথা হল না। অর্জুন ফিরে গেলেন সেই নয় বছর আগে।
অভিনেতার প্রেমের সূত্রপাত প্রায় দু’দশক আগে থেকেই। এক সময়ের প্রেমিক পুরুষ থেকে একজন স্বামী এবং অবশেষে একজন বাবার ভূমিকায়। অর্জুন এবং সৃজার কোলে এসেছে কন্যা অবন্তিকা চক্রবর্তী। এই নয় বছরে কতটা বদলাল জীবন? বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাতে অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আডিশন। প্রশ্ন করতেই এক গাল হাসি নিয়ে তিনি বলেন, “প্রতিদিনই একটু একটু করে বদলাচ্ছে জীবন। দায়িত্বও বাড়ছে। আমি আর সৃজা এখনও আলোচনা করি, স্কুলজীবনে একসঙ্গে হাত ধরে মেট্রো ধরতাম। তারপর একদিন সত্যিই সত্যিই বিয়ে হল আমাদের। এখন অবন্তিকাকে নিয়েই আমাদের ড্রিম কাম ট্রু মোমেন্ট!” অভিনেতার কথায়, জীবনে বদল তো আসবেই, তবে প্রতিটা মুহূর্তকেই সম্মানের সঙ্গে বাঁচিয়ে রাখা উচিত।

দীর্ঘ বছরের পথচলা। পেছনে ফিরে তাকালে কী উপলব্ধি হয় অর্জুনের? তিনি বলেন, “অনেক কিছুই উপলব্ধি হয়। আমার আর সৃজার প্রেম প্রায় দু’দশকের কাছাকাছি। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে হাইস্কুলে আমাদের প্রেম শুরু। খুবই দীর্ঘ পথচলা। তখনও জানতাম না আমার পেশা কী হবে। ভাগ্যক্রমে অভিনেতা হওয়ার অনেক আগে থেকেই সৃজার সঙ্গে আমার আলাপ। আমরা একে অপরের বেড়ে ওঠা দেখেছি। ওর প্রেমিকা থেকে মা হয়ে ওঠা। আমার বাবা হয়ে ওঠা। আমরা একে-অপরের সবকিছুর সাক্ষী। এখন অবন্তিকার গুরুদায়িত্ব আমাদের কাঁধে। এমন কতজনই বা পায়! আমি কৃতজ্ঞ সবকিছুর জন্য। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।”
অর্জুনের কাছে সুখী দাম্পত্যের চাবিকাঠি কী? তিনি বলেন, “সুখী দাম্পত্যের কোনও ফর্মুলা হয় না। আমরা ব্যক্তি হিসেবে কেউই শ্রেষ্ঠ নই। কিন্তু এই ভাল-খারাপ, দু’দিক নিয়েই একে অপরকে ভালবাসা, সম্মান দেওয়া, স্পেস দেওয়া…এটাই তো পথচলা।”
এ দিন সৃজার সঙ্গে একগুচ্ছ ছবি ভাগ করে নিয়েছেন অর্জুন। ক্যাপশনে লেখা, ‘বিয়ের ন’টা বছর সুন্দর ভাবে কাটল। আমার স্ত্রী হওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমার কাছে সুযোগ থাকলে, নয় বছর আগের সেই সন্ধ্যায় আমি ফিরে যেতাম এবং সেই দিনটা আবার উপভোগ করতাম। বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা।’