আবেগ ধরে রাখতে পারেন না গাভাসকর! ভারত ট্রফি জিততেই যা করলেন, তাতে মুগ্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা
স্পোর্টস ডেস্ক: তিনি ঠোঁটকাটা, যা বলার বলে দেন সোজাসাপটা। তবু টেস্টে প্রথম ১০ হাজারি ক্লাবের দেখা পাওয়া কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর বিশ্ব ক্রিকেটে সবার কাছে শ্রদ্ধার মানুষ। তাঁর দেশপ্রেম, টিম ইন্ডিয়ার জয়ে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ তিনি কিছুতেই চাপতে পারেন না। ভারতের হারে যেমন কষ্ট পান। তেমনই জয়ে জয়োচ্ছ্বাসও করেন। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি চলাকালীন ঋষভ পন্থের আউট হওয়ার ধরন দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি ‘লিটল মাস্টার’। স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড বলে চিৎকার করে উঠেছিলেন। আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে উল্টো দৃশ্য। বয়স ৭৫ বছর। তবু ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাসকরকে নিজের দায়িত্বে থাকাকালীন অবস্থায় সব ভুলে গিয়ে শিশুর মত নাচতে দেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
হ্যাঁ, এমনটাই তিনি করেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর পুরস্কারের মঞ্চের সামনে। স্বাভাবিকভাবেই গাভাসকরের নাচের দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে সমাজ মাধ্যমে। টিভি চ্যানেল স্টার স্পোর্টস তাঁর নাচের সেই ভিডিও এক্সে পোস্ট করে ক্যাপশনও দিয়েছে যথার্থ। বলিউডের ‘ইশকিয়া’ সিনেমার গানের লাইন, ‘দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি।’ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারায় ভারত। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে রোহিত–কোহলিরা যখন সাদা ব্লেজার পরে ট্রফি হাতে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। গাভাসকর একটু দূরে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখে নিজের আবেগ সামলাতে পারেননি। শুরু করে দেন নাচ।
গাভাসকরের সঙ্গে ছিলেন মায়ান্তি ল্যাঙ্গার এবং ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পা। সঞ্চালক যতীন সাপরু তখন বলেন, ‘গাভাস্কারকে থামাবে কে?’ পাশ থেকে ভারতের সাবেক স্পিনার হরভজন সিং বলেন, ‘তাঁকে থামানো উচিত নয়। মুহূর্তটা সুন্দর। মজা লাগছে দেখে। ক্যামেরায় গাভাসকরের নাচ ভালোভাবে ধরতে সামনে থেকে সরে দাঁড়ান মায়ান্তি। এই নিয়ে গত আট মাসে দ্বিতীয়বার ট্রফি জিতল ভারত। আর দুই ফরম্যাটের সিমিত ওভারের ক্রিকেটে মেন ইন ব্লুজদের এই দাপট দেখে ১৯৮৩র বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর বলেই দিলেন, ভারতই এই মূহূর্তে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দল।