এখনও বৃষ্টির জলে পার্কিং লটেই ডুবে গাড়ি, ‘ক্ষতিপূরণ সান্তনা ছাড়া কিছু নয়’ বলেই ক্ষোভ প্রকাশ দোলন রায়ের

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: এক রাতের টানা বৃষ্টিতে শহরের একের পর এক রাস্তা, আবাসন, গ্যারাজ জলে থইথই। আর এই পরিস্থিতিতেই একেবারে শোচনীয় অবস্থা অভিনেত্রী দোলন রায়ের। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি আর তাঁর স্বামী অভিনেতা দীপঙ্কর দে বাইপাসের কাছে যে আবাসনে থাকেন, সেটিও জলমগ্ন। আর তার জেরেই বিপদে পড়েছেন অভিনেত্রী। গভীর রাতে হটাৎ পরিস্থিতি এতটা খারাপ হবে, তা তিনি ভাবতেও পারেননি। জলের তলায় চলে গেছে তাঁর শখের গাড়ি।

গাড়িটা এখন কোন অবস্থায় রয়েছে, এই প্রশ্নটা আসতেই অভিনেত্রীর মনটা স্বাভাবিকভাবেই খারাপ হয়ে যায়। তিনি জানান, এখনও তার গাড়ি জলের তলায়। আডিশনের কচ্ছে অভিনেত্রী জানান যে, গতকাল বিকেল থেকে পাম্প চললেও, এখনও পুরোপুরি জল বের করা যায়নি। ফলে গাড়িটা ঠিক আছে কি না, বা কী অবস্থায় আছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। এই ঘটনার পর তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও আপলোড করেন ও পরে একটি পোস্টে লেখেন, ‘গাড়ি ডুবেছে, আমিও ডুবেছি। আবার বাঁচব, যেমন করে প্রতিবার বাঁচি, তেমন করে আবার বাঁচব।’ 

গাড়িতে কী ছিল? জিজ্ঞেস করতেই যেন অভিনেত্রীর মন আরও বিষণ্ণ হয়ে যায়। তিনি বললেন, “মনটা সাভাবিক ভাবে খারাপ হয়ে গেছে, কি আর হবে। কারণ আমার গাড়িতে প্রচুর জিনিসপত্র ছিল, গাড়িটাকে আরেকটা আলমারি বলা যেতে পরে। শুটিংয়ের জিনিস থেকে শুরু করে বেশ কিছু নিজের শাড়ি রয়েছে, অনেক সময়তেই আমি আমার শাড়িই পড়ি। সেইগুলো নিয়ে আসিনী , গাড়িতেই রাখা ছিল। সেসব কিছুই এখন জলের তলায়।” তাঁর কথায়, মন খারাপের সঙ্গে মিশেছে অসহায়তা।

এমন পরিস্থিতি যে একেবারে নতুন, তা নয়। ২০২১-২২-এর বৃষ্টিতেও জল ঢুকেছিল আবাসনে। সেই কারণে নিচে গাড়ি না রেখে মাল্টি-টাওয়ারে রাখতেন দোলন। কিন্তু এবারে কী মনে করে নিচে রেখেছিলেন, নিজেও বুঝে উঠতে পারছেন না। আর সেই ভুলই এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

সামনে পুজো, আর পুজোর ঠিক আগেই এমন বিপত্তি। এর থেকে বড় মন খারাপের জায়গা আর কী হতে পারে? অভিনেত্রীর ড্রাইভারকে পুজোর বোনাস দেওয়া হয়েছে, কিন্তু গাড়িটাই যে নেই! পুজোর চারদিন গাড়িটা না থাকলে কেমন হয়? হয়তো পুজোর সময় গাড়ি ভাড়া করতে হবে, বা অন্য কোনও গাড়ি ব্যবহার করতে হবে বলেই জানালেন অভিনেত্রী। 

তবে দোলনের মন খারাপের থেকেও বড় কষ্ট, চারপাশের মানুষের ক্ষতি। কারও ব্যবসা বন্ধ, কারও সংসার অচল। এরই মাঝে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। “অকারণে প্রাণ হারালেন মানুষগুলি। দায়ী করলেই কি ফেরানো যাবে তাঁদের?” প্রশ্ন তুললেন দোলন।

ক্ষতিপূরণের মতো শব্দগুলিকে তিনি নিছক সান্তনার বার্তা বলেই মনে করেন। আইনি পদক্ষেপ নিয়েও আশাবাদী নন। তাঁর মতে, মামলা করেও কিছু হবে না। যা ছিল তাই থাকবে, কোনও কিছুরই পরিবর্তন হবে না। ভবিষ্যতের কোনও আশাই আর তাঁর নেই। 

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *