সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাদের কুর্নিশ, মঞ্চ মাতালেন শঙ্কর মহাদেবন

অপারেশন সিঁদুর। থমকে গিয়েছিল আইপিএল ম্যাচ। মাঝে আটদিন বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয় টুর্নামেন্ট।ভারতীয় সেনাদের বীরত্ব ও লড়াইয়ে এরপর খেলা হলেই কুর্নিশ জানানো হয়েছিল। মঙ্গলবার শেষদিন আইপিএলের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে জানানো হল সম্মান। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মঞ্চ সাজানো হয়েছিল ভারতের জাতীয় পতাকার রং দিয়ে। গ্যালারিতে হাজির সমর্থকদের হাতে নজরে পড়েছিল জাতীয় পতাকা। গানের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে শ্রদ্ধা জানান শঙ্কর মহাদেবন। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন দুই ছেলে সিদ্ধার্থ এবং শিবম। একের পর এক দেশাত্মবোধক গান শোনান তাঁরা।

আধ ঘণ্টার অনুষ্ঠানে গাইলেন ৮টি গান। দেশের রক্ষায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবিশ্বাস্য প্রচেষ্টার প্রতি সম্মান জানাতে একটি ভিডিয়োও প্রদর্শনী করা হয়। উত্তোলন হয় ভারতের তেরঙা ৷আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে শঙ্কর মহাদেবন তাঁর সঙ্গীত পরিবেশনায় ‘অ্যায় ওয়াতন’, ‘লেহেরা দো’ এবং ‘কান্ধো সে মিলতে হ্যায় কদম’-গানগুলি গেয়ে স্টেডিয়ামের পরিবেশকে অন্যমাত্রায় পৌঁছ দেন৷ উপস্থিত ছিলেন, আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি থেকে অন্যান্য কর্মকর্তারা৷ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার সময়ই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া জানিয়েছিলেন, ‘আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসার এবং যোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি আহমেদাবাদে আইপিএল ফাইনালের দিন। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য উদযাপনে। ভারতীয় বোর্ড দেশের সেনাবাহিনীর দুর্জয় সাহস, নিঃস্বার্থ সেবাকে সম্মান জানাচ্ছে। আর সেই কারণে বোর্ড ঠিক করেছে, আইপিএলের সমাপ্তি অনুষ্ঠান আমরা দেশের সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করব। আমাদের দেশনায়ক যাঁরা, তাঁদের সম্মানিত করব। ক্রিকেট আমাদের দেশে এক আবেগের বিষয়। কিন্তু সবার আগে দেশ। দেশের সার্বভৌমত্ব। দেশের নিরাপত্তা।’ প্রসঙ্গত, মরসুমের শুরুটা হয়েছিল জমকালো এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিয়ে। সেখানে শ্রেয়া ঘোষাল, দিশা পাটানির মতো তারকা পারফর্ম করেছিলেন।