১৮ বছর পর বিরাটের হাতে ট্রফি, আনন্দে কাঁদলেন কোহলি

বিশ্বকাপ, অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ, টি২০ বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, সব ছিল তাঁর ক্যাবিনেটে, ছিল না শুধু আইপিএল ট্রফি। কেরিয়ারের সায়াহ্নে এসে অধরা ট্রফিও ছোঁয়া হয়ে গেল বিরাট কোহলির। আইপিএল ট্রফি দিল ২০২৫ সালে। পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে প্রথমবার ট্রফি ঘরে তুলল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। চতুর্থবার ফাইনালে এসে ১8 বছর অপেক্ষার পর স্বপ্নের মুহূর্তে কেঁদে ফেললেন বিরাট কোহলি। বেঙ্গালুরু আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে তুলেছিল ১৯০ রান। জবাবে পাঞ্জাব করতে পেরেছে ৭ উইকেটে ১৮৪ রান। ১৯০ রান আইপিএলে অনেক বড় কোনো স্কোর নয়। এবারের আইপিএলে আহমেদাবাদে প্রথম ইনিংসে এটাই সর্বনিম্ন। তবে স্পিনার ক্রুনাল পান্ডিয়ার ৪ ওভারে ১৭ রানে ২ উইকেট আর ফাইনালের চাপেই যেন হেরে গেল পাঞ্জাব। গতবার কেকেআরকে জেতালেও, এবার আর ফাইনালে চাপটা নিতে পারেননি পাঞ্জাবের হয়ে শ্রেয়স আইয়ার। ফলে, প্রীতির মুখের হাসি মিলিয়েই গেল। রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার প্রভসিমরান সিং, প্রিয়াংশ আর্য থেকে শুরু করে নেহাল ওয়াধেরা কেউই খোলস ছেড়ে যেন বেরতে পারেননি। প্রিয়াংশ করেন ১৯ বলে ২৪, প্রভসিমরান ২২ বলে ২৬।

ওয়াধেরা ছিলেন আরও স্লো। তাতেই পিছিয়ে পড়ে পাঞ্জাব। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ১৮ বলে তাঁর রান ১৫। শুরুতে ব্যতিক্রম ছিলেন জশ ইংলিস। ২৩ বলে ৩৯ রান করে চেষ্টা চালান। শ্রেয়স আউট হন ১ রানে। তবে রান তাড়ার লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল পাঞ্জাব। শশাঙ্ক সিং ৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৩০ বলে ৬১ করে অপরাজিত থাকলেও জয়ের রানে পৌঁছতে পারেননি। টসে জিতে বেঙ্গালুরুকে ব্যাট করতে পাঠান শ্রেয়স। তবে পাওয়ার প্লের ফায়দা তুলতে পারেনি ফিল সল্ট, বিরাট কোহলি জুটি। ৬ ওভারের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে আরসিবির রান ছিল ৫১। প্রথম ওভারেই ছয়, চার হাঁকিয়ে শুরু করেন সল্ট। কিন্তু দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে তাঁকে ফেরান শ্রেয়স। ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। এক উইকেট হারানো সত্ত্বেও দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় কোহলি এবং মায়াঙ্ক আগরওয়াল। কিন্তু বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেনি। ব্যক্তিগত ২৪ রানের মাথায় আউট হন মায়াঙ্ক। উইকেটে টিকে থাকলেও চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি বিরাটকে। মন্থর ক্রিকেট খেলেন। একটা দিক ধরে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু অন্য প্রান্তে শুরুটা ভাল করেও অল্প রানের মধ্যে ফিরে যান রজত পতিদার। ১৬ বলে ২৬ রান করে আউট হন। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন বিরাট কোহলি। ৩৫ বল খেলেন তিনি। লিয়াম লিভিংস্টোন ২৫ এবং জিতেশ শর্মা করেন ২৪ রান। রোমারিও শেফার্ড করেন ১৭ রান। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরু। ৩টি করে উইকেট নেন অর্শদীপ সিং ও কাইল জেমিসন।