প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তদের মতোই উচ্চমাধ্যমিকে নজির দুই যমজ ভাইয়ের

0



কাকতালীয় হলেও সত্যি। এমনও হয়? জন্মের সময়ের তাদের মধ্যে ব্যবধান ছিল ২৫ মিনিট। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলে কোনও ব্যবধানই নেই। দুই যমজ ভাই, দু’জনের প্রাপ্ত নম্বরই এক। দু’জনেই একসঙ্গে একই র‍্যাঙ্কে। উচ্চমাধ্যমিকের তাদের ফলাফল দেখলে চমকেই যেতে হয়। দু’জনে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্র। বাঁকুড়ার অনীশ ও অনীক বাড়ুই উচ্চমাধ্যমিকে নবম হয়েছে ৷ দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯। বছর দুয়েক আগে মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরে খুব বেশি ব্যবধান ছিল না যমজ ভাইয়ের। ৬৮৯ নম্বর পেয়ে রাজ্যে মাধ্যমিকে যৌথ চতুর্থ হয়েছিল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্র অনীশ বারুই। আর তার থেকে ২ নম্বর কম পেয়ে মাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছিল তার ভাই অনীক বারুই। মাধ্যমিকে একে অপরকে টেক্কা দিলেও, উচ্চমাধ্যমিকে কেউ কাউকে টেক্কা দিতে পারেনি। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে পর পর সাফল্য আসায় তাদের বাবা–মা, শিক্ষক–শিক্ষিকা সকলেই গর্বিত। দুই ভাইকে দেখতেও প্রায় একই। আচমকা দেখলে চেনা মুশকিল। শুধু তফাতটা হল একজনের থুঁতনিতে তিল রয়েছে। তবে যমজ ভাইয়ের একই নম্বর পাওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। ১৯৬০ সালে স্কুল ফাইনাল পরীক্ষায় একই নম্বর পেয়েছিলেন যমজ দুই ভাই তথা রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত এবং ইতিহাসের অধ্যাপক অতীশ দাশগুপ্ত ৷ শুধু কী তাঁরাই, কয়েক বছর আগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৩২৯ নম্বর পেয়েছিল রানাঘাটের যমজ ভাই সৌম্যদীপ ও শুভদীপ মণ্ডল। এবার মাধ্যমিকে কল্যাণীর যমজ অর্চিষ্মান এবং আয়ুষ্মান চক্রবর্তীও এই নজির গড়ে। মাধ্যমিকে তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৭। আর এবার ভাল ফল করে চমকে দিল বাঁকুড়ার ওন্দার যমজ ভাই অনীশ ও অনীক। অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় থেকে অদ্রিচ গুপ্ত এবং রফিত রানা লস্কর দুজনেই ৪৯০ পেয়ে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। অদ্রিচ এবং রফিতও নরেন্দ্রপুর থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার মেধাতালিকায় ছিল। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহারাজ ইস্টেশানন্দ বলেন, ‘এই ফলাফলে আমরা খুশি ৷ ছাত্ররা যে তাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পেরেছে, এটা খুব বড় ব্যাপার ৷ এটা সম্ভব হয়েছে নরেন্দ্রপুরের পরিবেশ, পঠনপাঠন পদ্ধতির জন্য ৷ আরও একটা বড় ব্যাপার, ছাত্ররা এখানে মোবাইলে আসক্ত হতে পারে না’ ৷

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *