‘একটা মেয়েকে পণ্য বানিয়ে দিল’, ঠাকুরপুকুর কাণ্ডের নিন্দা করেও শ্রিয়ার হয়ে সরব রূপাঞ্জনা
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: ঠাকুরপুকুর কাণ্ডে গত রবিবার থেকেই তোলপাড় সমাজমাধ্যম। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ছয় জনকে পিষে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছোট পর্দার পরিচালক ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্ত দাসের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে মৃত্যুও হয়েছে এক জনের। এই ঘটনায় পরিচালক ছাড়াও আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন আরও একজন। ওই একই গাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় উপস্থিত ছিলেন একটি চ্যানেলের কার্যকরী প্রযোজক শ্রিয়া বসু। দুর্ঘটনার পর ঝড়ের গতিতে ছড়িয়েছে তাঁর ভিডিয়ো। মত্ত অবস্থায় ছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই কটাক্ষ তো ধেয়ে এসেছেই, পাশাপাশি রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘কনটেন্ট’-এ পরিণত হয়েছেন তিনি। এ বার এই বিষয়টিকে ঘিরেই মুখ খুললেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র।
মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো প্রতিবাদের মাঝেই তাঁর হয়ে গলা ফাটিয়েছেন রূপাঞ্জনা। তিনি লেখেন, ‘আমাদের বাংলার ফিল্ম এবং টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি এরকম নয়। যারা নিজেদের সম্মান রাখতে পারে না, মদ্যপান করে হুঁশ হারিয়ে গাড়ি চালিয়ে মানুষকে পিষে ফেলে ভাবে পার পেয়ে যাবে, তাদের কী হাল করে সাধারণ মানুষ, তা তো নিজের চোখে ভিডিয়োতেই দেখলাম। তবে এটাও দেখলাম কত মানুষ একটি মেয়েকে পণ্য বানিয়ে দিল। কার দোষ সেটা ওপরওয়ালা বিচার করবেন আর আদালত। তবে ভিডিয়োগুলো যে হারে কনটেন্টের মতো ভাইরাল হচ্ছে, সেটাও কি খুব দরকার?’
গত রবিবার সকালে, ঠাকুরপুকুর বাজার এলাকায় একটি বিএমডাব্লিউ গাড়ি এসে কয়েকজন পথচারীকে আচমকা ধাক্কা দেয়। গুরুতর জখম হন ছয় জন। তাঁদের মধ্যে চার জনকে ভর্তি করানো হয় স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে। বাকি দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বিকেল গড়াতেই জানা যায়, আশঙ্কাজনক দু’জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন পরিচালক ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্ত দাস। গাড়িতে ছিলেন ঋতুপর্ণা সেন (ঋ) এবং একটি চ্যানেলের কার্যনির্বাহী প্রযোজক শ্রিয়া বসু। তারপর থেকেই তোলপাড় নেটমাধ্যম।