তিনিই টেস্টে ১০ হাজার ক্লাবে প্রথম, বিসিসিআইয়ে হল ‘সুনীল গাভাসকর বোর্ড রুম’
স্পোর্টস ডেস্ক: সুনীল মনোহর গাভাসকর। এই মানুষটাই প্রথম দেখিয়েছিলেন, ডন ব্র্যাডম্যানের ২৯ টি টেস্ট সেঞ্চুরির উচ্চতম এভারেস্টও টপকানো যায় । তিনিই টেস্ট ক্রিকেটে ‘প্রথম’ ১০ হাজার রানের মাইলস্টোনও ছুঁয়ে বুঝিয়েছিলেন, এও সম্ভব। তামাম ভারতবাসীর প্রত্যাশার পাহাড় প্রমাণ চাপ ঘাড়ে নিয়েই রান আর রেকর্ডের মালা গেঁথে গেছেন আন্তরিক তাগিদে। ‘হেলমেটহীন’ এই অকুতোভয় ওপেনার, বিশ্বসেরা বিধ্বংসী পেসারদের নিঃশঙ্ক চিত্তে সামলেছেন তাঁর চওড়া ব্যাটের আধিপত্যে। সেই গাভাসকরকেই এবার অভিনব সম্মান জানাল বিসিসিআই। আরও একবার আবেগে ভাসলেন ভারতের লিটল মাস্টার।
বিসিসিআই হেডকোয়ার্টারে একটি নতুন বোর্ডরুমের উদ্বোধন করা হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ১০,০০০ গাভাসকর। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ১০,০০০ রানের ঐতিহাসিক কীর্তির স্মরণে এই উদ্যোগ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট রজার বিনি, সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা এবং সেক্রেটারি দেবজিত সাইকিয়া হাজির ছিলেন। ছিলেন সুনীল গাভাসকরও। স্বাভাবিকভাবেই নিজের নামের রুম উদ্বোধনে নস্ট্যালজিক লিটল মাস্টার। বোর্ড রুমের দেওয়াল জুড়ে শোভা পাচ্ছে গাভাসকরের খেলোয়াড়ি জীবনের নানান ফটোগ্রাফ। নিজের পুরনো দিনের সাদা কালো ছবিতে সইও করেন। বলেন, ‘এম সি এ আমার মা, আর বিসিসিআই আমার বাবা। এই সম্মানের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি যা হয়েছি, তা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্যই। এই সম্মান পেয়ে আমি আপ্লুত। বিসিসিআইয়ের জন্য যেকোনও দরকার হলে, আমি এখনও প্রস্তুত’। বিসিসিআই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে। ভারতীয় বোর্ড ক্যাপশনে লিখেছে, ‘কিংবদন্তিকে সম্মান জানাচ্ছি’।
উল্লেখ্য, ৭ মার্চ, ১৯৮৭ সালে আহমেদাবাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা ১২৪তম ম্যাচে সুনীল গাভাসকর তাঁর ১০,০০০তম টেস্ট রান পূর্ণ করেন। সেইসময় ম্যাচও কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয়। কারণ আহমেদাবাদের দর্শকরা স্টেডিয়ামের বাধা ভেঙে গাভাসকরকে তাঁর অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানাতে মাঠে ছুটে আসেন। তার ৩৪টি টেস্ট সেঞ্চুরি প্রায় দুই দশক ধরে বিশ্ব রেকর্ড হিসেবে টিকে ছিল, যতক্ষণ না শচীন তেন্ডুলকর ২০০৫ সালে তা অতিক্রম করেন। ১২৫ টেস্টে ৫১-রও বেশি গড়ে ১০,১২২ রান করেছেন গাভাসকর। সেঞ্চুরির সংখ্যা ৩৪টি।